নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে রোববার দুপুরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুর কাদের। পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে তাকে নিরাপদে আদালত এলাকা ত্যাগ করতে সহায়তা করা হয়।
জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে প্রভাব খাটিয়ে মঞ্জুর কাদের অবৈধভাবে অর্থ আদায় এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের নির্যাতনে জড়িত ছিলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলেও দাবি করা হয়। রোববার হঠাৎ আদালত প্রাঙ্গণে তাকে দেখতে পেয়ে অতীতে নির্যাতনের শিকার জামায়াতের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাকে ঘেরাও করেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধানসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হস্তক্ষেপ করেন। তারা আদালত প্রাঙ্গণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিরাপদে চলে যেতে সহায়তা করেন।
জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল (জেলা) এর সহকারী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ সালে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে আন্দোলনের সময় তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় এবং অর্থ আদায়ের ঘটনাও ঘটে। একই ধরনের অভিযোগ করেন আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাওফিকুল ইসলাম।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে কোনোভাবেই মব জাস্টিস হতে দেওয়া যায় না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন এবং সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিরাপদে সেখান থেকে চলে যেতে সহায়তা করেন।




















