ফরিদপুরের সালথায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গিয়ে কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন সালথা থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ মুকুল। এ ঘটনায় হামলাকারী ওই কৃষক লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত এএসআই মুকুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার কৃষক লীগ নেতার নাম খোরশেদ খান (৫৭)। তিনি সালথা উপজেলার গট্টি গ্রামের উসমান খানের ছেলে। খোরশেদ গট্টি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহসভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগুলদিয়া গ্রামে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে সাত সদস্যের একটি পুলিশ দল অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এএসআই মোহাম্মদ মুকুল। পুলিশ গ্রামে পৌঁছালে খোরশেদ খান নিজেকে এলাকার ‘বিশিষ্ট ব্যক্তি’ পরিচয় দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযানের কারণ জানতে চান। বিষয়টি জানানো হলে তিনি ওই আসামিকে গ্রেফতার না করার দাবি জানান এবং বলেন, ওই ব্যক্তি তার আত্মীয়।
এ নিয়ে খোরশেদ খানের সঙ্গে এএসআই মুকুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খোরশেদ বাঁশের লাঠি দিয়ে এএসআই মুকুলের মাথায় আঘাত করলে তিনি আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা খোরশেদ খানকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং আহত এএসআইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সালথা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গেলে কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং এক পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, আহত এএসআই মুকুল বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।





















