ঢাকা-৮ আসনে রাজনৈতিক প্রার্থী নির্ধারণকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেনের একটি পোস্ট। পোস্টে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার প্রেক্ষাপটে ওসমান হাদীর ভূমিকা ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের স্মৃতিচারণা তুলে ধরেন।
ইলিয়াস হোসেন জানান, জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা পরবর্তী সময়ে ওসমান হাদী সাদিক কায়েমকে স্বাগত জানিয়ে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের লিংক হাদী নিজেই ইলিয়াস হোসেনকে পাঠান। ইলিয়াসের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ধারণা করেছিলেন—হাদী হয়তো ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলেন, সাদিক কায়েমের মতো শক্তিশালী প্রার্থীর বিপরীতে যেন জামায়াত আর কাউকে না দেয়।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, কোনো প্রশ্ন না করেই ইলিয়াস হোসেন হাদীকে রিপ্লাই দিয়ে জানান, তিনি জামায়াতের সঙ্গে কথা বলবেন—যাতে হাদীর আসনে জামায়াত কোনো প্রার্থী না দেয়। এর জবাবে হাদী একটি ‘লাভ রিয়্যাক্ট’ দেন। ইলিয়াস হোসেন জানান, ৬ ডিসেম্বরের পর সেটিই ছিল তাঁদের শেষ যোগাযোগ।
পোস্টের শেষাংশে ইলিয়াস হোসেন আবেগঘন কণ্ঠে হাদীর সুস্থ হয়ে ফিরে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি লেখেন, প্রয়োজনে তিনি জামায়াতের নেতাদের কাছে অনুরোধ জানাতেও প্রস্তুত, তবে শর্ত একটাই—হাদীকে ফিরে আসতে হবে। আগের মতো ফোন, টেক্সট, আবদার ও কর্মসূচির তালিকা পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, সেগুলো তিনি নিজের পেজে শেয়ার করবেন—ইনশাআল্লাহ।
ইলিয়াস হোসেনের এই পোস্ট প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে মানবিকতা, পারস্পরিক আস্থা এবং নির্বাচনী কৌশল নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।



















