দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় সূত্র জানায়, ওই দিন দুপুর পৌনে ১২টায় তিনি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে বিমানবন্দরের প্রটোকল, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর রাজধানীর ৩০০ ফিট (পূর্বাচল রোড) এলাকায় তারেক রহমানকে ঘিরে বিশাল গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। এই কর্মসূচিকে সফল করতে ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনবে।”
তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকায় আসছেন তার একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। তার থাকার জন্য গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনো কারণে সেটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসভবন ‘ফিরোজা’-তেই অবস্থান করবেন।
দেশে ফিরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে ৮৬ নম্বর রোডের ওই কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।





















