ঢাকা ১০:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জাতিসংঘের, নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মৃত্যুবরণ করেন।

বিবৃতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “প্রতিশোধ কেবল বিভেদকে আরও গভীর করবে এবং সবার মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করবে।” একই সঙ্গে তিনি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, হাদির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার তাগিদও দেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন শরিফ ওসমান বিন হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তাঁর মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যেই উপদেষ্টাদের দেশপ্রেম নেই, তাদের পদত্যাগ করা উচিত: চরমোনাই পীর

শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জাতিসংঘের, নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান

আপডেট সময় ০৯:২৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মৃত্যুবরণ করেন।

বিবৃতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “প্রতিশোধ কেবল বিভেদকে আরও গভীর করবে এবং সবার মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করবে।” একই সঙ্গে তিনি দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, হাদির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার তাগিদও দেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন শরিফ ওসমান বিন হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তাঁর মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।