ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাকসু জিএস আম্মারের আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল: ছাত্রদল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির দাবি, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক সিয়াম বিন আইয়ুব এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি গ্রুপে পোস্ট দিয়ে কয়েকজন আওয়ামীপন্থী ডিনের পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেন। পোস্টে তিনি ডিনদের চেয়ারে দেখা গেলে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং ‘বাকিটা বুঝিয়ে দেব’ বলে হুমকি দেন। এছাড়া শুক্রবার তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা চাকরি করলে তাদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, এসব বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রকাশ্য হুমকি, যা একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে চরম অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের বক্তব্য ও মারমুখী আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের পরিপন্থী এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত ‘তালা ঝোলানো’ সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। অতীতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহ-উপাচার্যসহ এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা শিক্ষক সমাজকে অপমানিত করেছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. সৈয়দ শামসুজ্জোহার ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠে এ ধরনের মব-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
ছাত্রদল নেতারা বলেন, কারও বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে প্রচলিত আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি হুমকি, অশালীন ও মারমুখী আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, ছয়জন আওয়ামীপন্থী ডিনের পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকালে কর্মসূচি পালন করেন রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার। ডিনদের কেউ ক্যাম্পাসে না থাকায় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে একে একে তাদের ফোন করেন এবং প্রস্তুত করা পদত্যাগপত্র প্রকাশ করেন। পরে ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের কয়েকটি কার্যালয় ও উপাচার্যসহ প্রশাসন ভবনের বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলানো হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে পরে তালাগুলো খুলে দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে এসএসএফের নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ

রাকসু জিএস আম্মারের আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল: ছাত্রদল

আপডেট সময় ০৯:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির দাবি, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক সিয়াম বিন আইয়ুব এ অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি গ্রুপে পোস্ট দিয়ে কয়েকজন আওয়ামীপন্থী ডিনের পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেন। পোস্টে তিনি ডিনদের চেয়ারে দেখা গেলে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন এবং ‘বাকিটা বুঝিয়ে দেব’ বলে হুমকি দেন। এছাড়া শুক্রবার তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তা চাকরি করলে তাদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, এসব বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রকাশ্য হুমকি, যা একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে চরম অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের বক্তব্য ও মারমুখী আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের পরিপন্থী এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত ‘তালা ঝোলানো’ সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। অতীতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহ-উপাচার্যসহ এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা শিক্ষক সমাজকে অপমানিত করেছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. সৈয়দ শামসুজ্জোহার ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠে এ ধরনের মব-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
ছাত্রদল নেতারা বলেন, কারও বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে প্রচলিত আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি হুমকি, অশালীন ও মারমুখী আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, ছয়জন আওয়ামীপন্থী ডিনের পদত্যাগের দাবিতে রোববার সকালে কর্মসূচি পালন করেন রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার। ডিনদের কেউ ক্যাম্পাসে না থাকায় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে একে একে তাদের ফোন করেন এবং প্রস্তুত করা পদত্যাগপত্র প্রকাশ করেন। পরে ডিনস কমপ্লেক্স ভবনের কয়েকটি কার্যালয় ও উপাচার্যসহ প্রশাসন ভবনের বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলানো হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে পরে তালাগুলো খুলে দেওয়া হয়।