অর্থ কেলেঙ্কারির চূড়ান্ত মামলায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন মালয়েশিয়ার কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাজধানী পুত্রজায়ার প্যালেস অব জাস্টিসে প্রায় সাত বছর ধরে চলা শুনানি শেষে আদালত তাকে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি প্রধান অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। মালয় নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
রায়ে বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ বলেন, নাজিব রাজাক রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ওয়ানএমডিবি (১এমডিবি) থেকে প্রায় ২৩০ কোটি রিঙ্গিত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ, আত্মসাৎ করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। বিচারক জানান, প্রমাণে স্পষ্ট হয়েছে যে, এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে নাজিব সরাসরি জড়িত ছিলেন।
বর্তমানে এই মামলায় নাজিবের বিরুদ্ধে আনা বাকি ২১টি মানি লন্ডারিং অভিযোগের রায়ের অপেক্ষা রয়েছে। বিচার চলাকালে নাজিবের আইনজীবীরা দাবি করে আসছিলেন, সংশ্লিষ্ট অর্থ সৌদি আরব থেকে আসা বৈধ রাজনৈতিক অনুদান এবং পলাতক অর্থদাতা ঝো লো তাকে প্রতারিত করেছেন। তবে আদালত এ যুক্তি নাকচ করে দেন।
বিচারক সেকুয়েরাহ রায়ে বলেন, তথ্য-প্রমাণে প্রতীয়মান হয়েছে যে ঝো লো নাজিব রাজাকের একজন প্রক্সি বা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আরও বলেন, নাজিবের মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ নিজেকে পরিস্থিতির শিকার বা সাধারণ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন না।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাক বর্তমানে এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল কেলেঙ্কারির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কাজাং কারাগারে ছয় বছরের সাজা ভোগ করছেন। আজকের রায়ের ফলে তার সাজা আরও দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং আত্মসাৎকৃত অর্থের পাঁচগুণ পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।


























