এবার গাজার উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় সোমবার একটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাড়িতে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন এবং আরও দুইজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, এটা ছিল একটি পরিকল্পিত ও ভয়াবহ হামলা। নিহত সেনারা নবম ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও আশপাশে তীব্র গোলাগুলির কারণে অভিযান ব্যাহত হয়। পরে আরও হেলিকপ্টার এসে এলাকায় গোলাবর্ষণ করে উদ্ধার চেষ্টা চালায়। এক হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কিছু সময় উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে হয়।
এই ঘটনার পর গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা আরও বেড়ে যায়। সোমবার সারাদিন গাজার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং ১ লাখ ২৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে হামলা চালাচ্ছে। এতে অনেক অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন।
হামাস আরও বলেছে, ইসরায়েলের এসব কাজ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরে বলেছে, আমেরিকার সহযোগিতায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।