ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের নামাজে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার শাজাহানপুরে ঈদের সকালে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী দ্রুতগামী বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা ও তাঁর শিশু সন্তান। নিহতরা হলেন- চান মিয়া (৩৫) ও তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ।

শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বামুনীয়া মন্ডলপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চান মিয়া ঐ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং তিনি নাবিল এন্টারপ্রাইজের একজন বাসচালক ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বেলাল জানান, ঈদের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে চান মিয়া তাঁর শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে ঈদগাহ মাঠ, যা রাস্তার অন্য পাশে অবস্থিত। রাস্তা পার হওয়ার সময় তিনি প্রথমে তাঁর ছেলেকে রাস্তার মাঝখানে থাকা ডিভাইডার পার করান। এরপর নিজে ডিভাইডার টপকে পার হতে গেলে ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির অজ্ঞাতনামা বাসের নিচে পিষ্ট হন। বাসচাপায় ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলে দুজনেই নিহত হন।

এই অকাল মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারটি শোকে ভেঙে পড়েছে, আর ঈদের আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছে শোকের মাতমে। আশপাশের এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে গভীর বিষাদের ছায়া।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আব্দুল খালেক জানান, ঈদের দিন সকালে মহাসড়কটি তুলনামূলক ফাঁকা থাকায় দ্রুতগতির ঘাতক বাসটি পালিয়ে যায়। এখনো বাসটি শনাক্ত করা যায়নি। তবে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা কলেজে ছাত্রশিবিরের প্রীতিভোজে সৌহার্দ্যের মিলনমেলা

ঈদের নামাজে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

বগুড়ার শাজাহানপুরে ঈদের সকালে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী দ্রুতগামী বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা ও তাঁর শিশু সন্তান। নিহতরা হলেন- চান মিয়া (৩৫) ও তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ।

শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বামুনীয়া মন্ডলপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চান মিয়া ঐ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং তিনি নাবিল এন্টারপ্রাইজের একজন বাসচালক ছিলেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বেলাল জানান, ঈদের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে চান মিয়া তাঁর শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে ঈদগাহ মাঠ, যা রাস্তার অন্য পাশে অবস্থিত। রাস্তা পার হওয়ার সময় তিনি প্রথমে তাঁর ছেলেকে রাস্তার মাঝখানে থাকা ডিভাইডার পার করান। এরপর নিজে ডিভাইডার টপকে পার হতে গেলে ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির অজ্ঞাতনামা বাসের নিচে পিষ্ট হন। বাসচাপায় ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলে দুজনেই নিহত হন।

এই অকাল মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারটি শোকে ভেঙে পড়েছে, আর ঈদের আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছে শোকের মাতমে। আশপাশের এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে গভীর বিষাদের ছায়া।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আব্দুল খালেক জানান, ঈদের দিন সকালে মহাসড়কটি তুলনামূলক ফাঁকা থাকায় দ্রুতগতির ঘাতক বাসটি পালিয়ে যায়। এখনো বাসটি শনাক্ত করা যায়নি। তবে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।