কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৮ জুন) বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের পিটিআই মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় কান্নায় ভেঙে পড়েন কাদের সিদ্দিকী।
নাসরিন সিদ্দিকী মৃত্যুকালে ৭০ বছর বয়সে পৌঁছেছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নার্গিস হামিদ কোরেশীর মেয়ে।
রবিবার সকালে তাঁর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইল শহরের পৈতৃক বাসভবন সিদ্দিকী কটেজে পৌঁছায়। সেখান থেকে রাজনৈতিক সহকর্মী, সমর্থক, আত্মীয়স্বজন ও সাধারণ মানুষ তাঁর শেষবারের মতো মুখদর্শনের জন্য ভিড় করেন।
জানাজায় অংশ নেন কাদের সিদ্দিকীর ভাই ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর ছেলে দ্বীপ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকা (বীরপ্রতীক), টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আহসান হাবীব মাসুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাদ আসর কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে নাসরিন সিদ্দিকীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, কাদের সিদ্দিকীর ভাই মুরাদ সিদ্দিকী, আজাদ সিদ্দিকী এবং স্থানীয় শত শত মানুষ।
গত ২২ মে নাসরিন সিদ্দিকীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তাঁকে দ্রুত ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। ২২ মে থেকে তিনি অচেতন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
অবশেষে শনিবার (৭ জুন) দিবাগত রাত ১১টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের চোখে জল নিয়ে বিদায় জানানো হয় নাসরিন সিদ্দিকীকে।