ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভবঘুরে পাগলের পকেটে মিললো ৩ লাখ টাকা ও জমির একাধিক দলিল

এবার নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ভবঘুরে এক ব্যক্তির বস্তা ও পোশাকের ভাঁজে পাওয়া গেছে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। নোংরা পোশাক আর কাঁধে বড় বস্তা নিয়ে পথেই দিন কাটান ভবঘুরে গণি মিয়া (৫০)। গত শনিবার (১৪ জুন) সকালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যানিটি বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ওই ব্যক্তিকে গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে এ সময় তার কাছে এই টাকার সন্ধান মেলে। এ ছাড়া তার বস্তার ভেতর থেকে পাওয়া যায় জমির একাধিক দলিল-দস্তাবেজও।

এ অবস্থায় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ময়নুল ইসলাম জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস গণি মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে টাকাগুলো গণনা করা হলে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। বর্তমানে টাকাগুলো সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমাজকর্মী রশিদুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শহরে দীর্ঘদিন ধরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান গণি মিয়া। তিনি সাধারণত কারো ক্ষতি করেন না এবং অনেকেই তাকে দয়া করে কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। এসব টাকাই তিনি খরচ না করে কাপড় বা বস্তার ভেতরে গুঁজে রাখতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সৈয়দপুর থানা পুলিশের ওসি ফইম উদ্দীন বলেন, ‘ওই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় শহরের জিআরপি এলাকায় থাকেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি রংপুরের আলমনগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকায়। তার পরিবারের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা চলছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা: ইরানি হামলা প্রতিহত করতে সহায়তা চেয়েছে ইসরাইল, পশ্চিমে রওনা দিয়েছে মার্কিন রণতরী

ভবঘুরে পাগলের পকেটে মিললো ৩ লাখ টাকা ও জমির একাধিক দলিল

আপডেট সময় ০৭:০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

এবার নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ভবঘুরে এক ব্যক্তির বস্তা ও পোশাকের ভাঁজে পাওয়া গেছে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। নোংরা পোশাক আর কাঁধে বড় বস্তা নিয়ে পথেই দিন কাটান ভবঘুরে গণি মিয়া (৫০)। গত শনিবার (১৪ জুন) সকালে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যানিটি বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ওই ব্যক্তিকে গোসল করানোর উদ্যোগ নিলে এ সময় তার কাছে এই টাকার সন্ধান মেলে। এ ছাড়া তার বস্তার ভেতর থেকে পাওয়া যায় জমির একাধিক দলিল-দস্তাবেজও।

এ অবস্থায় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক ময়নুল ইসলাম জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস গণি মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে টাকাগুলো গণনা করা হলে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫২ টাকা। বর্তমানে টাকাগুলো সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সমাজকর্মী রশিদুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শহরে দীর্ঘদিন ধরে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ান গণি মিয়া। তিনি সাধারণত কারো ক্ষতি করেন না এবং অনেকেই তাকে দয়া করে কিছু অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। এসব টাকাই তিনি খরচ না করে কাপড় বা বস্তার ভেতরে গুঁজে রাখতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সৈয়দপুর থানা পুলিশের ওসি ফইম উদ্দীন বলেন, ‘ওই ব্যক্তি বেশির ভাগ সময় শহরের জিআরপি এলাকায় থাকেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি রংপুরের আলমনগরের রবার্টসনগঞ্জ এলাকায়। তার পরিবারের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা চলছে।’