ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি ইরানের, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ইরানের হুঁশিয়ারিতে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি মঙ্গলবার (১৩ মে) এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, প্রয়োজনে ইরান একযোগে ৬০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর দিকে ছুড়তে সক্ষম।

তিনি বলেন, “আমরা যদি একসঙ্গে ৬০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ি, শত্রুরা তা সহ্য করতে পারবে কি?”

সালামি জানান, ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের শত্রুরা তাদের হুমকির পরিণতি বুঝতে পারছে না। এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আজারবাইজানেও যেতে সাহস পাচ্ছেন না।”

তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুদ্ধ এখন শুধু সামরিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই—এটি মিডিয়া, সংস্কৃতি ও মতাদর্শের যুদ্ধেও রূপ নিয়েছে। গাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “দৃঢ় সংকল্প থাকলে সামরিক শক্তিকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।”

ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সালামি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিমানবাহী রণতরীগুলো সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়েও একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির পথ বেছে নিচ্ছে। এটি তাদের কৌশলগত পিছু হটার লক্ষণ বলে তিনি মনে করেন।

শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, তাদের বাহিনীর অভ্যন্তরে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে বিমানবাহিনীর সক্ষমতা কমছে এবং দুর্ঘটনার হার বেড়েছে—যা সামরিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় বৈঠকে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতার হাতাহাতি, ভিডিও ভাইরাল

একসঙ্গে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি ইরানের, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে

আপডেট সময় ১২:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ইরানের হুঁশিয়ারিতে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি মঙ্গলবার (১৩ মে) এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, প্রয়োজনে ইরান একযোগে ৬০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর দিকে ছুড়তে সক্ষম।

তিনি বলেন, “আমরা যদি একসঙ্গে ৬০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ি, শত্রুরা তা সহ্য করতে পারবে কি?”

সালামি জানান, ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের শত্রুরা তাদের হুমকির পরিণতি বুঝতে পারছে না। এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আজারবাইজানেও যেতে সাহস পাচ্ছেন না।”

তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুদ্ধ এখন শুধু সামরিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই—এটি মিডিয়া, সংস্কৃতি ও মতাদর্শের যুদ্ধেও রূপ নিয়েছে। গাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “দৃঢ় সংকল্প থাকলে সামরিক শক্তিকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।”

ইয়েমেন পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সালামি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিমানবাহী রণতরীগুলো সরাসরি সংঘাতে না জড়িয়েও একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির পথ বেছে নিচ্ছে। এটি তাদের কৌশলগত পিছু হটার লক্ষণ বলে তিনি মনে করেন।

শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, তাদের বাহিনীর অভ্যন্তরে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে বিমানবাহিনীর সক্ষমতা কমছে এবং দুর্ঘটনার হার বেড়েছে—যা সামরিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।