ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড: রাশেদ খান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের নির্দেশেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। একই সঙ্গে মাহফুজ আলমকে জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খান। ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘মাহফুজের আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপ আমি সমর্থন করি না।

সকালে প্রতিবাদও জানিয়েছি। কিন্তু তার অডিও ফাঁস হওয়া বক্তব্য নিশ্চয়ই শুনেছেন, সে কোন মানসিকতার লোক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়েছে, অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীর শরীর দিয়ে রক্ত ঝরেছে।মাহফুজ আলমদের নির্দেশেই এসব হামলা ও রক্ত ঝরানোর ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের কাছে এই বোতল নিক্ষেপের প্রতিবাদই মুখ্য হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু রক্তের কোনো মূল্য নেই, শিক্ষকের ওপর হামলার কোনো প্রতিবাদ নেই। একপক্ষীয় এই প্রতিবাদের কারণ আমরা বুঝি! হ্যাডম থাকলে দুটো ঘটনার প্রতিবাদ করুন।

গতকাল হামলার পর তো কোনো প্রতিবাদ দেখিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ওপর হামলা নাকি তার ওপর বোতল নিক্ষেপের কারণে ন্যায্য হয়ে গেছে! এখান থেকে প্রমাণিত যে এই উপদেষ্টাদের নির্দেশেই হামলা হয়েছে।’

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই হামলার প্রতিক্রিয়া যে বোতল নিক্ষেপ নয়, তা কিভাবে বলবেন? মাহফুজকে যারা কাছ থেকে চেনেন, তারা আরো ভালো বলতে পারবেন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের পুরো সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছেন এই বুদ্ধিজীবী নামধারী কথিত মাস্টারমাইন্ড। এমনকি তিনি জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলারও মাস্টারমাইন্ড।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের এই ক্ষতির জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে-আমাকে যেমন খেসারত দেওয়া লাগবে, তাকেও দেওয়া লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর মানুষের যে আস্থা বিশ্বাসে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য পুরোপুরি দায়ী এই কথিত টিএসসির বুদ্ধিজীবী! বলে রাখা ভালো, মাহফুজ নিজেও শিবিরের রাজনীতি করত। কিন্তু এখন সে প্রগতিশীল হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে। মূলত হীনম্মন্যতা থেকেই তার প্রগতিশীল হওয়ার এই যাত্রা! এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এইজন উপদেষ্টা শপথ লঙ্ঘনের পরে কিভাবে পদে বহাল আছে, সেই প্রশ্ন আমি করছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

উপদেষ্টা মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড: রাশেদ খান

আপডেট সময় ০৭:১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের নির্দেশেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। একই সঙ্গে মাহফুজ আলমকে জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খান। ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘মাহফুজের আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপ আমি সমর্থন করি না।

সকালে প্রতিবাদও জানিয়েছি। কিন্তু তার অডিও ফাঁস হওয়া বক্তব্য নিশ্চয়ই শুনেছেন, সে কোন মানসিকতার লোক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়েছে, অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীর শরীর দিয়ে রক্ত ঝরেছে।মাহফুজ আলমদের নির্দেশেই এসব হামলা ও রক্ত ঝরানোর ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের কাছে এই বোতল নিক্ষেপের প্রতিবাদই মুখ্য হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু রক্তের কোনো মূল্য নেই, শিক্ষকের ওপর হামলার কোনো প্রতিবাদ নেই। একপক্ষীয় এই প্রতিবাদের কারণ আমরা বুঝি! হ্যাডম থাকলে দুটো ঘটনার প্রতিবাদ করুন।

গতকাল হামলার পর তো কোনো প্রতিবাদ দেখিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ওপর হামলা নাকি তার ওপর বোতল নিক্ষেপের কারণে ন্যায্য হয়ে গেছে! এখান থেকে প্রমাণিত যে এই উপদেষ্টাদের নির্দেশেই হামলা হয়েছে।’

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই হামলার প্রতিক্রিয়া যে বোতল নিক্ষেপ নয়, তা কিভাবে বলবেন? মাহফুজকে যারা কাছ থেকে চেনেন, তারা আরো ভালো বলতে পারবেন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের পুরো সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছেন এই বুদ্ধিজীবী নামধারী কথিত মাস্টারমাইন্ড। এমনকি তিনি জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলারও মাস্টারমাইন্ড।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের এই ক্ষতির জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে-আমাকে যেমন খেসারত দেওয়া লাগবে, তাকেও দেওয়া লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর মানুষের যে আস্থা বিশ্বাসে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য পুরোপুরি দায়ী এই কথিত টিএসসির বুদ্ধিজীবী! বলে রাখা ভালো, মাহফুজ নিজেও শিবিরের রাজনীতি করত। কিন্তু এখন সে প্রগতিশীল হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে। মূলত হীনম্মন্যতা থেকেই তার প্রগতিশীল হওয়ার এই যাত্রা! এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এইজন উপদেষ্টা শপথ লঙ্ঘনের পরে কিভাবে পদে বহাল আছে, সেই প্রশ্ন আমি করছি।’