ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদা না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৬৯০ বার পড়া হয়েছে

এবার ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কামারপট্টি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে মারধর ও স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের এক যুবককে গত শনিবার রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালান একই উপজেলার মো. ফরিদ উদ্দিন, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল, তার ভাই আলাউদ্দিনসহ সংঘবদ্ধ একটি দল। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়।

রোববার সকালে স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় ওই যুবককে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ‘ভাই’ বলে পায়ে ধরে, কেঁদে ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আকুতি জানালেও ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পাননি ওই নারী।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামীকে এসএস পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে স্বামীকে অন্যত্র সরিয়ে স্ত্রীকে মো. ফরিদ উদ্দিন, আলাউদ্দিনসহ তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশপাশের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুচিবাড়িরকোনা বাজারে এনে সবাইকে ঘটনাটি জানান। ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ জানালে রাতের দিকে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।

পরে তজুমদ্দিন থানা-পুলিশ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে সোমবার দিনব্যাপী তদন্ত করেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি পুলিশ। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।ভিকটিমের স্বামী একাধিক বিয়ে করেছেন। তাদের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে লেনদেন রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণগ্রেপ্তার নয়, দোষীদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চাঁদা না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

আপডেট সময় ১০:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

এবার ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কামারপট্টি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে মারধর ও স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের এক যুবককে গত শনিবার রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালান একই উপজেলার মো. ফরিদ উদ্দিন, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল, তার ভাই আলাউদ্দিনসহ সংঘবদ্ধ একটি দল। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়।

রোববার সকালে স্ত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় ওই যুবককে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ‘ভাই’ বলে পায়ে ধরে, কেঁদে ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আকুতি জানালেও ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পাননি ওই নারী।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামীকে এসএস পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে স্বামীকে অন্যত্র সরিয়ে স্ত্রীকে মো. ফরিদ উদ্দিন, আলাউদ্দিনসহ তিনজন মিলে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাড়ির আশপাশের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মুচিবাড়িরকোনা বাজারে এনে সবাইকে ঘটনাটি জানান। ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ জানালে রাতের দিকে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।

পরে তজুমদ্দিন থানা-পুলিশ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে সোমবার দিনব্যাপী তদন্ত করেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি পুলিশ। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।ভিকটিমের স্বামী একাধিক বিয়ে করেছেন। তাদের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে লেনদেন রয়েছে।