ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় ও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর হার বেড়েছে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সামরিক উত্তেজনার পর ইরানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, সম্প্রতি আফগানিস্তানে ফেরত যাওয়া শরণার্থীদের ৭০ শতাংশকে জোর করে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।

ইরানে অবস্থানরত আফগান নাগরিকরা জানিয়েছেন, দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে তাদের “ইসরায়েলি গুপ্তচর” হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর ফলে তারা রাস্তাঘাটে, বাজারে এবং কর্মস্থলে অপমান ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, কেবল জুন মাসেই ইরান ছেড়েছেন ২ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি আফগান। আর চলতি বছর পাকিস্তান ও ইরান থেকে ১০ লাখের বেশি আফগান নাগরিককে জোর করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো বা নির্বাসিত করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় আফগানদের মোবাইল জব্দ, বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও আটক ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার সময় ৫ হাজারেরও বেশি শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

তেহরানে বসবাসরত একজন আফগান নাগরিক জানিয়েছেন, “এখানে অবস্থা ভয়াবহ। এমনকি ছোট কারখানাগুলোতেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।”

এ প্রসঙ্গে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিকান্দার মোমেনি বলেন, “আফগানরা পরিশ্রমী, তবে দেশ অতিরিক্ত চাপ নিতে পারছে না। যারা গত দুই-তিন বছরে এসেছেন, তাদের অনেকেই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন।”

ইরানের সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ আফগান নাগরিক বাস করছে, যার মধ্যে প্রায় ২০ লাখের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জাতিসংঘ জানায়।

সূত্র: বিবিসি

 

জনপ্রিয় সংবাদ

“দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না”— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী

ইরানে আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় ও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর হার বেড়েছে

আপডেট সময় ০৮:২৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের সামরিক উত্তেজনার পর ইরানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, সম্প্রতি আফগানিস্তানে ফেরত যাওয়া শরণার্থীদের ৭০ শতাংশকে জোর করে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।

ইরানে অবস্থানরত আফগান নাগরিকরা জানিয়েছেন, দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালিয়ে তাদের “ইসরায়েলি গুপ্তচর” হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর ফলে তারা রাস্তাঘাটে, বাজারে এবং কর্মস্থলে অপমান ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, কেবল জুন মাসেই ইরান ছেড়েছেন ২ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি আফগান। আর চলতি বছর পাকিস্তান ও ইরান থেকে ১০ লাখের বেশি আফগান নাগরিককে জোর করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো বা নির্বাসিত করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় আফগানদের মোবাইল জব্দ, বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও আটক ও হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার সময় ৫ হাজারেরও বেশি শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

তেহরানে বসবাসরত একজন আফগান নাগরিক জানিয়েছেন, “এখানে অবস্থা ভয়াবহ। এমনকি ছোট কারখানাগুলোতেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।”

এ প্রসঙ্গে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিকান্দার মোমেনি বলেন, “আফগানরা পরিশ্রমী, তবে দেশ অতিরিক্ত চাপ নিতে পারছে না। যারা গত দুই-তিন বছরে এসেছেন, তাদের অনেকেই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন।”

ইরানের সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৬০ লাখ আফগান নাগরিক বাস করছে, যার মধ্যে প্রায় ২০ লাখের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জাতিসংঘ জানায়।

সূত্র: বিবিসি