ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করাচিতে ছয়তলা ভবন ধসে ১২ জনের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে আরও বহুজন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:৫২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • ৫৮১ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের করাচিতে ভয়াবহ ভবনধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন ২৫ থেকে ৩০ জন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকেই ভবনটিতে অস্বাভাবিক কম্পন অনুভূত হচ্ছিল। এরপর সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করেই ছয়তলা আবাসিক ভবনটি ধসে পড়ে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন পুরুষ, চারজন নারী ও একজন শিশু। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো জোরদার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঘটনার পর করাচির কমিশনার হাসান নাকভি অভিযোগ করেন, ভবনটির বাসিন্দারাই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি— ভবনটি বসবাসের অযোগ্য ও বিপজ্জনক হিসেবে আগে থেকেই চিহ্নিত ছিল এবং একাধিকবার সরিয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দারা তা মানেননি।

তিনি বলেন, “আমরা বারবার সতর্ক করেছি, কিন্তু অধিবাসীরা ঝুঁকি জেনেও ভবনে থেকে গেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রশাসন কাউকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে না। এখন আমরা প্রাণহানির ঘটনাটি দেখতে পেলাম।”

এই দুর্ঘটনা করাচি শহরের নির্মাণব্যবস্থা, অবৈধ দখল এবং পুরোনো ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নেই নয়ন

করাচিতে ছয়তলা ভবন ধসে ১২ জনের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে আরও বহুজন

আপডেট সময় ০১:৫২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানের করাচিতে ভয়াবহ ভবনধসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন ২৫ থেকে ৩০ জন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকেই ভবনটিতে অস্বাভাবিক কম্পন অনুভূত হচ্ছিল। এরপর সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করেই ছয়তলা আবাসিক ভবনটি ধসে পড়ে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন পুরুষ, চারজন নারী ও একজন শিশু। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এখনো জোরদার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঘটনার পর করাচির কমিশনার হাসান নাকভি অভিযোগ করেন, ভবনটির বাসিন্দারাই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি— ভবনটি বসবাসের অযোগ্য ও বিপজ্জনক হিসেবে আগে থেকেই চিহ্নিত ছিল এবং একাধিকবার সরিয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দারা তা মানেননি।

তিনি বলেন, “আমরা বারবার সতর্ক করেছি, কিন্তু অধিবাসীরা ঝুঁকি জেনেও ভবনে থেকে গেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রশাসন কাউকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে না। এখন আমরা প্রাণহানির ঘটনাটি দেখতে পেলাম।”

এই দুর্ঘটনা করাচি শহরের নির্মাণব্যবস্থা, অবৈধ দখল এবং পুরোনো ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।