ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই মেয়াদে সীমিত করার পক্ষে ৮৯ শতাংশ নাগরিক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের জনগণের বিপুল অংশ মনে করে, একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা উচিত নয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজন আয়োজিত নাগরিক সংলাপ ও বিস্তৃত জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপের এটিএম শামসুল হক মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে এ জরিপ উপস্থাপন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় কমিটির সদস্য মো. একরাম হোসেন।

জরিপে অংশ নেন দেশের ৬৪ জেলার এক হাজার ৩৭৩ জন নাগরিক। এর মধ্যে নারী ৩৩৫ জন, পুরুষ এক হাজার ৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের পাঁচজন। ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে সীমিত করার পক্ষে মত দেন। তরুণ ও মধ্যবয়সী শ্রেণি এবং শহর ও গ্রামের উভয় এলাকার জনগণ এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, জনগণ মনে করছে দীর্ঘমেয়াদে একই ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য হুমকি। এতে পক্ষপাতমূলক নীতি, স্বচ্ছতার ঘাটতি, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা বাড়ে। অন্যদিকে মেয়াদ সীমিত করা হলে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব হবে।

সুজন ইতোমধ্যেই এ জনমতকে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংস্থার দাবি, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করবে।

জরিপে দেখা যায়, বিরোধী মত পোষণকারীরা সাধারণত নিরপেক্ষ অবস্থানে আছেন। তবে বিপুলসংখ্যক সমর্থক প্রমাণ করছে, জনগণ ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য মেয়াদ সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে দৃঢ়। সংলাপ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি স্পষ্ট বার্তা গেছে—গণতান্ত্রিক সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য জনগণ এখন পরিবর্তনের পক্ষে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বনজ কুমারের মাম’লায় খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই মেয়াদে সীমিত করার পক্ষে ৮৯ শতাংশ নাগরিক

আপডেট সময় ১২:৫৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

দেশের জনগণের বিপুল অংশ মনে করে, একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা উচিত নয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজন আয়োজিত নাগরিক সংলাপ ও বিস্তৃত জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপের এটিএম শামসুল হক মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপে এ জরিপ উপস্থাপন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় কমিটির সদস্য মো. একরাম হোসেন।

জরিপে অংশ নেন দেশের ৬৪ জেলার এক হাজার ৩৭৩ জন নাগরিক। এর মধ্যে নারী ৩৩৫ জন, পুরুষ এক হাজার ৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের পাঁচজন। ফলাফলে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের ৮৯ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে সীমিত করার পক্ষে মত দেন। তরুণ ও মধ্যবয়সী শ্রেণি এবং শহর ও গ্রামের উভয় এলাকার জনগণ এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, জনগণ মনে করছে দীর্ঘমেয়াদে একই ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য হুমকি। এতে পক্ষপাতমূলক নীতি, স্বচ্ছতার ঘাটতি, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা বাড়ে। অন্যদিকে মেয়াদ সীমিত করা হলে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব হবে।

সুজন ইতোমধ্যেই এ জনমতকে প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংস্থার দাবি, রাজনৈতিক দলগুলো যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করবে।

জরিপে দেখা যায়, বিরোধী মত পোষণকারীরা সাধারণত নিরপেক্ষ অবস্থানে আছেন। তবে বিপুলসংখ্যক সমর্থক প্রমাণ করছে, জনগণ ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য মেয়াদ সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে দৃঢ়। সংলাপ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি স্পষ্ট বার্তা গেছে—গণতান্ত্রিক সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য জনগণ এখন পরিবর্তনের পক্ষে।