ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের দাবি বিশ্বজুড়ে জোরালো

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"remove":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বিশ্বজুড়ে স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার দাবি দিন দিন জোরদার হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হওয়া, পড়াশোনার ক্ষতি এবং সামাজিক চাপের মতো নানা কারণ উল্লেখ করে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা এ উদ্যোগকে সমর্থন করছেন। গত ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের আইন পাস করেছে। এর আগে চীন, ফিনল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বহু অঙ্গরাজ্যে আংশিক বা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি প্রযুক্তিবিরোধী কোনো মনোভাব নয়, বরং শিশু-কিশোরদের কল্যাণের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ। কারণ, তারা সবসময় নিজেদের ভালো-মন্দের বিষয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। শ্রেণিকক্ষে ফোন সরিয়ে রাখলেও প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, কারণ বাইরে ও নির্দিষ্ট পাঠে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব। ভারতে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফোন নিষিদ্ধ করলে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে সামান্য হলেও উন্নতি হয়, বিশেষত দুর্বল শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি বেশি হয়। তিন বছর ধরে ১৭ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে করা এই গবেষণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ফল এসেছে ইংল্যান্ড ও স্পেনের গবেষণাতেও। তবে সুইডেনের একটি গবেষণায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শিক্ষাবিদেরা মনে করেন, পরীক্ষার ফলাফলের উন্নতির পাশাপাশি স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ সামাজিক চাপও কমায়। অনেক শিক্ষার্থী একসময় এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ সবার ফোন থাকলে আলাদা হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ফোন একসঙ্গে সরিয়ে নিলে আর কিছু মিস করার আশঙ্কা থাকে না। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণকে তুলনামূলক সহজ সমাধান হিসেবে দেখছেন নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে; তবে ভবিষ্যতে তারাই হয়তো স্কুলের এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের দাবি বিশ্বজুড়ে জোরালো

আপডেট সময় ০৪:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বজুড়ে স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করার দাবি দিন দিন জোরদার হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হওয়া, পড়াশোনার ক্ষতি এবং সামাজিক চাপের মতো নানা কারণ উল্লেখ করে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা এ উদ্যোগকে সমর্থন করছেন। গত ২৭ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিষিদ্ধের আইন পাস করেছে। এর আগে চীন, ফিনল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বহু অঙ্গরাজ্যে আংশিক বা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি প্রযুক্তিবিরোধী কোনো মনোভাব নয়, বরং শিশু-কিশোরদের কল্যাণের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ। কারণ, তারা সবসময় নিজেদের ভালো-মন্দের বিষয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। শ্রেণিকক্ষে ফোন সরিয়ে রাখলেও প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, কারণ বাইরে ও নির্দিষ্ট পাঠে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব। ভারতে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফোন নিষিদ্ধ করলে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে সামান্য হলেও উন্নতি হয়, বিশেষত দুর্বল শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি বেশি হয়। তিন বছর ধরে ১৭ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে করা এই গবেষণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ফল এসেছে ইংল্যান্ড ও স্পেনের গবেষণাতেও। তবে সুইডেনের একটি গবেষণায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শিক্ষাবিদেরা মনে করেন, পরীক্ষার ফলাফলের উন্নতির পাশাপাশি স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণ সামাজিক চাপও কমায়। অনেক শিক্ষার্থী একসময় এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ সবার ফোন থাকলে আলাদা হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ফোন একসঙ্গে সরিয়ে নিলে আর কিছু মিস করার আশঙ্কা থাকে না। বিশ্বজুড়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন নিয়ন্ত্রণকে তুলনামূলক সহজ সমাধান হিসেবে দেখছেন নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে; তবে ভবিষ্যতে তারাই হয়তো স্কুলের এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবে।