ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসনাত-সারজিসের নাম ভাঙিয়ে ৫০ লাখ আত্মসাৎ, প্রতারক ফারুক তিন দিনের রিমান্ডে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ হোসেন ফারুককে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারি প্রজেক্টের ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ফারুক। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাবি করে তিনি ছোটনকে প্রভাবিত করেন। এমনকি তাদের সঙ্গে তোলা ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করেন।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ নভেম্বর তিনি ফারুককে অগ্রিম ৫০ লাখ টাকা দেন। এরপর থেকে ফারুক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট টাকা ফেরত চাইলে ফারুক উল্টো ছোটনকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে ছোটন বিষয়টি হাসনাত আবদুল্লাহকে অবহিত করলে তিনি গত ২৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন মীর ফখরুদ্দিন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ফারুককে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কত আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি, স্পষ্ট করলেন নাহিদ

হাসনাত-সারজিসের নাম ভাঙিয়ে ৫০ লাখ আত্মসাৎ, প্রতারক ফারুক তিন দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় ১১:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ হোসেন ফারুককে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারি প্রজেক্টের ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ফারুক। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দাবি করে তিনি ছোটনকে প্রভাবিত করেন। এমনকি তাদের সঙ্গে তোলা ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করেন।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৯ নভেম্বর তিনি ফারুককে অগ্রিম ৫০ লাখ টাকা দেন। এরপর থেকে ফারুক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট টাকা ফেরত চাইলে ফারুক উল্টো ছোটনকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে ছোটন বিষয়টি হাসনাত আবদুল্লাহকে অবহিত করলে তিনি গত ২৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন মীর ফখরুদ্দিন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ফারুককে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে।