ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের অকাল প্রয়াণ, পরিবারে শোকের ছায়া”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৫ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা। পরিবারের আশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো। কিন্তু মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি পরপারে পাড়ি জমালেন। পাবনা শহরের জেলাপাড়া মহল্লার রাবেয়া ভিলাতে তার নিজ বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া জান্নাতুল ছো্টবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে পাবনা মহিলা কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ২০২১ সালে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।

তার বাবা রুমি খন্দকার জানিয়েছেন, জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে বাড়ি গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে ভোট গণনার কক্ষে ডাকার পর সেখানে যান। সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে তার সঙ্গে শেষ মেসেজ আসে, “বাবা, আমি ভোট গণনা করতে যাচ্ছি।” কিন্তু কক্ষে প্রবেশের আগেই দরজার সামনেই তিনি পড়ে যান এবং পরে মৃত্যু হয়।

জান্নাতুল ফেরদৌসের মরদেহ বর্তমানে পাবনার পথে। পাবনা পৌর এলাকার কাচারীপাড়া জামে মসজিদে বাদ এশা তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মরদেহ আরিফপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, উপাচার্যসহ আহত ১৩

“জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের অকাল প্রয়াণ, পরিবারে শোকের ছায়া”

আপডেট সময় ০৮:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা। পরিবারের আশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো। কিন্তু মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি পরপারে পাড়ি জমালেন। পাবনা শহরের জেলাপাড়া মহল্লার রাবেয়া ভিলাতে তার নিজ বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

জান্নাতুল ফেরদৌস পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া জান্নাতুল ছো্টবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে পাবনা মহিলা কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ২০২১ সালে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।

তার বাবা রুমি খন্দকার জানিয়েছেন, জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে বাড়ি গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে ভোট গণনার কক্ষে ডাকার পর সেখানে যান। সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে তার সঙ্গে শেষ মেসেজ আসে, “বাবা, আমি ভোট গণনা করতে যাচ্ছি।” কিন্তু কক্ষে প্রবেশের আগেই দরজার সামনেই তিনি পড়ে যান এবং পরে মৃত্যু হয়।

জান্নাতুল ফেরদৌসের মরদেহ বর্তমানে পাবনার পথে। পাবনা পৌর এলাকার কাচারীপাড়া জামে মসজিদে বাদ এশা তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মরদেহ আরিফপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।