ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোট বাঁধছেন মুসলিম নেতারা!

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রায় এক সপ্তাহ আগে কাতারের রাজধানী দোহায় আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ছয়জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মীও ছিলেন। ইসরায়েল দাবি করে, এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী নেতৃত্বকে নির্মূল করা। কিন্তু ঘটনাটি উল্টো আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এখন সেই ক্ষোভকে কেন্দ্র করেই দোহায় একত্র হচ্ছেন মুসলিম ও আরব দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা।হামলার দিনই দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন ফিলিস্তিনি নেতারা। প্রস্তাব অনুসারে, দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে বন্দি বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল ওই বৈঠক চলাকালেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জানায়, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হলেও ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে হত্যা করতে না পারায় আফসোস করছে।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে দোহায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায়। এর পরপরই কাতার জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছে। আগামী সোমবার অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর ৭০টির বেশি দেশের নেতারা যোগ দেবেন।কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বিন জাসিম আল থানি নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা দেন, দোহা একক কোনো পদক্ষেপ নয়, বরং সমষ্টিগত প্রতিক্রিয়ার পথে হাঁটবে। ইতোমধ্যেই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।শনিবার ইরানের নিরাপত্তা প্রধান আলি লারিজানি ইসলামি বিশ্বকে সতর্ক করে বলেন, শুধু বিবৃতি দিয়ে ক্ষান্ত না থেকে যৌথ সামরিক অপারেশন সেল গঠন করতে হবে। ফলে সম্মেলনে শুধু নিন্দা নয়, বাস্তব পদক্ষেপের দিকেও অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।গাজা যুদ্ধ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ইরান, সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। এতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় কাতারসহ উপসাগরীয় দেশগুলো নতুন প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত অস্ত্র চুক্তির বাইরেও যেতে পারে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তুত তারেক রহমানের বাসভবন ও অফিস

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোট বাঁধছেন মুসলিম নেতারা!

আপডেট সময় ০৯:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রায় এক সপ্তাহ আগে কাতারের রাজধানী দোহায় আকস্মিক হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ছয়জন নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মীও ছিলেন। ইসরায়েল দাবি করে, এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী নেতৃত্বকে নির্মূল করা। কিন্তু ঘটনাটি উল্টো আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এখন সেই ক্ষোভকে কেন্দ্র করেই দোহায় একত্র হচ্ছেন মুসলিম ও আরব দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা।হামলার দিনই দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন ফিলিস্তিনি নেতারা। প্রস্তাব অনুসারে, দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে বন্দি বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল ওই বৈঠক চলাকালেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জানায়, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হলেও ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে হত্যা করতে না পারায় আফসোস করছে।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে দোহায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায়। এর পরপরই কাতার জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছে। আগামী সোমবার অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর ৭০টির বেশি দেশের নেতারা যোগ দেবেন।কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বিন জাসিম আল থানি নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা দেন, দোহা একক কোনো পদক্ষেপ নয়, বরং সমষ্টিগত প্রতিক্রিয়ার পথে হাঁটবে। ইতোমধ্যেই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।শনিবার ইরানের নিরাপত্তা প্রধান আলি লারিজানি ইসলামি বিশ্বকে সতর্ক করে বলেন, শুধু বিবৃতি দিয়ে ক্ষান্ত না থেকে যৌথ সামরিক অপারেশন সেল গঠন করতে হবে। ফলে সম্মেলনে শুধু নিন্দা নয়, বাস্তব পদক্ষেপের দিকেও অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে।গাজা যুদ্ধ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ইরান, সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। এতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় কাতারসহ উপসাগরীয় দেশগুলো নতুন প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত অস্ত্র চুক্তির বাইরেও যেতে পারে।