ছোট্ট একটি নাম সমু। বাবা মায়ের ভালোবাসা আদর যত্নে একটু একটু করে বেড়ে উঠছিলো সমুর জীবন। বুদ্ধিমত্তা ভালো থাকায় এই ছোট্ট বয়সে কবিতাও লিখতেন সমু। স্কুলে খেলার সাথীদের সাথে আর কখনো দেখা হবে না সমুর। স্কুলে ভালো রেজাল্ট-নম্বর ভদ্র ও ফার্স্টবয় হওয়ায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুখেমুখে সমু ডাকনামটি বেশ পরিচিত ছিলো। সমুর ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করার। কবিতার পাশাপাশি বেশ ভালো ফুটবলও খেলতো সমু। কে জানতো ফুটবল খেলতে গিয়ে জীবন প্রদীপ জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যাবে নন্দীগ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সমু চন্দ্র কর্মকারের জীবন প্রদীপ। সমু নন্দীগ্রাম হিন্দুপাড়ার সমর চন্দ্র কর্মকারের তৃতীয় ছেলে। সমু নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে হঠাৎ আঘাতপ্রাপ্ত হয় সমু। পরিবার জানতে পেরে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। এর কিছুদিন অতিবাহিত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সমু সকলের মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান। ষষ্ঠ শ্রেণীর কোমলমতি এই শিক্ষার্থী সমুর অকাল মৃত্যুতে পুরো নন্দীগ্রাম জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেক গুণীজনরা ফেসবুকে শোক প্রকাশ করছে। সবাই সমুর আত্মার শান্তি কামনা করছেন।