ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘গণহত্যা ঠেকাতে’ দখলদার ইসরায়েলের ওপর পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্পেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকার এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করে ডিক্রি জারি করেছে।
স্প্যানিশ অর্থমন্ত্রী কার্লোস কুয়ার্পো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইসরায়েলে স্পেন কোনো সামরিক সরঞ্জাম, দ্বৈত-ব্যবহারের সামরিক পণ্য ও প্রযুক্তি পাঠাবে না। একই সঙ্গে স্পেন এসব সামরিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এমন পণ্য ও প্রযুক্তি আমদানি করতেও পারবে না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিমান জ্বালানি, পশ্চিমতীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিগুলো থেকে আসা পণ্য এবং সেগুলোর স্পেনে বিজ্ঞাপনও অন্তর্ভুক্ত।
স্প্যানিশ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় উদ্যোগ।”
২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা শুরুর পর স্পেন আগেও সীমিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন ফাঁকফোকরের কারণে কিছু সামরিক পণ্য ইসরায়েলে পৌঁছেছে। এবার ডিক্রির মাধ্যমে সেই নিষেধাজ্ঞাকে ‘আইনি ভিত্তি’ দেওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, আর দেড় লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষের কারণে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতা ও পশ্চিমতীরে অবৈধ বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখায় যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ১০টির বেশি দেশ সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।