ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ: হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৭ বার পড়া হয়েছে

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ হৃদয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে প্রতিবছর এদিন বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি।

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ

 

বিশ্ব হার্ট দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য ডোন্ট মিস এ বিট। যার অর্থ লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মেনে চলা। বর্তমানে মানুষের মৃত্যুর যত কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যান। অর্থাৎ বিশ্বে যত মৃত্যু হয় তার ৩৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ।

 

 

দেশেও এ সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ মানুষ মারা যান এই রোগে। যা দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশের বেশি। এক সময় হৃদরোগ শুধু বয়স্কদের ধারণা করা হলেও, সমস্যার বাইরে নেই শিশুরাও। প্রতিবছর দেশে ৭৩ হাজার শিশু হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যা মোট শিশু জন্মের আড়াই শতাংশ। আরও আশঙ্কার বিষয়, অধিকাংশ অভিভাবকই জানেন না তাদের শিশুরা সমস্যায় আক্রান্ত।

 

তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৯ সালে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি বায়েস দে লুনা প্রথমবার এই দিবস পালনের অনুভব করেন। তার প্রস্তাবে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ২০০০ সালে প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব হার্ট ডে পালিত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ: হৃদরোগ প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

আপডেট সময় ১১:৪৩:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ হৃদয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে প্রতিবছর এদিন বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি।

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ

 

বিশ্ব হার্ট দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য ডোন্ট মিস এ বিট। যার অর্থ লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মেনে চলা। বর্তমানে মানুষের মৃত্যুর যত কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যান। অর্থাৎ বিশ্বে যত মৃত্যু হয় তার ৩৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ।

 

 

দেশেও এ সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ মানুষ মারা যান এই রোগে। যা দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশের বেশি। এক সময় হৃদরোগ শুধু বয়স্কদের ধারণা করা হলেও, সমস্যার বাইরে নেই শিশুরাও। প্রতিবছর দেশে ৭৩ হাজার শিশু হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যা মোট শিশু জন্মের আড়াই শতাংশ। আরও আশঙ্কার বিষয়, অধিকাংশ অভিভাবকই জানেন না তাদের শিশুরা সমস্যায় আক্রান্ত।

 

তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৯ সালে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি বায়েস দে লুনা প্রথমবার এই দিবস পালনের অনুভব করেন। তার প্রস্তাবে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ২০০০ সালে প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব হার্ট ডে পালিত হয়।