ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তার নাম মো. জহুরুল ইসলাম।বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পুনাইল গ্রামে তার বসবাস। বয়স মাত্র ২৫ বছর। ছোটবেলা থেকেই জীবনযুদ্ধের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করে আসছে সে। মাত্র ৫ বছর বয়সে পিতৃহারা জহুরুল বড় বোনের বাড়িতে মানুষ হয়। কৈশোরে ফিরে আসে মায়ের কাছে এবং অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকার পথ খুঁজে নেয়।
পরিশ্রমী, ভদ্র ও নম্র স্বভাবের এই তরুণ ২০২৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসারের বাড়তি আয়ের আশায় শুরু করে গাছ কাটার কাজ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস একদিন গাছ কাটার সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গাছ থেকে পড়ে যায় জহুরুল।তাতে তার এক পা গুরুতরভাবে ভেঙে যায়।এরপর থেকে থেমে যায় জীবিকার একমাত্র অবলম্বন তার পরিশ্রমের হাত।
বর্তমানে জহুরুল চিকিৎসা ও সংসার চালাতে মারাত্মক অর্থকষ্টে ভুগছেন।বিভিন্ন মানুষের সাহায্যে কিছুটা চিকিৎসা চললেও এখন আর পেরে উঠছেন না।তার ওপর এখন আছে এক ৮ মাস বয়সী কন্যা সন্তান, স্ত্রী ও মা—যাদের ভরণপোষণের দায়িত্বও তার কাঁধে।
বাচ্চার দুধ ও ওষুধ, স্ত্রীর যত্ন, মায়ের চিকিৎসা, আর নিজের চিকিৎসা—সব মিলিয়ে জহুরুলের জীবন এখন যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত।
সমাজের সকল হৃদয়বান ও মানবিক মানুষদের সহযোগিতা এই তরুণের জীবন বাঁচাতে পারে, একটি পরিবারে নতুন আলো ফিরিয়ে আনতে পারে।”
জহুরুল এখন আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের সবার দিকে মানবতার স্পর্শে যদি আরেকবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়, হয়তো তার ছোট কন্যার মুখে ফিরবে সেই হারিয়ে যাওয়া হাসি।
মামুন আহমেদ, নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধি 

















