ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বনাঞ্চলের ৪০টি সেগুন গাছ আত্মসাৎ করলেন কর্মকর্তা, শ্রমিককে ফাঁসালেন মামলায়

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানের লামা বন বিভাগের অধীনস্থ কাকরাঝিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৪০ টি সেগুন গাছ আত্মসাৎ করে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নিজের গাছ চুরির কেলেঙ্কারি ঢাকতে মিথ্যা ও সাজানো বন মামলায় ফাঁসানো হয় কামলা দেওয়া শ্রমিক মো. উসমান গণিকে।

 

পরে মিথ্যা মামলার প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা, স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বেচু, আব্দুল জলিল ও দেলাওয়ারকে বিবাদী করে চট্টগ্রাম অঞ্চল বন সংরক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও লামা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওসমান গনি।

 

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোরবান ঈদের আগে ওমর ফারুক বেচু তার বাগানের গাছ কাটার কথা বলে মজুরি ভিত্তিক আরো ৯জন শ্রমিক সহ ঘটনাস্থল কাঁকরার ঝিরি নিয়ে যায়। এসময় বেচু মালিক সেজে ২ ও ৩নং আসামীগণকে বিক্রয়ের কথা বলে ৪০ টি গাছ কর্তন করার জন্য রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেয় এবং আমরা তা কর্তন করে আসামিগণদের বুঝিয়ে দিলে পিকাপ যোগে পরিবহণ করেন তারা। পরে জানতে পারলাম আমার নামে বন মামলা দায়ের করা হয়, যা ভিত্তিহীন।

 

এদিকে অভিযোগের পর মাতামুহুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, বিট অফিসার রনি ও মোস্তাফিজুর রহমান সহ ৩জন বিশিষ্ট তদন্ত টিম গেলো সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তৈন রেঞ্জের কাঁকড়ারঝিরি বনাঞ্চলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ভিকটিমসহ কয়েকজন স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

তদন্তকারী বিট অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি, শেষ হলে আমরা একটি লিখিত রিপোর্ট প্রকাশ করবো। তবে তদন্তকারী টিম ভিক্টিম উসমান গণিকে আপোষ মীমাংসার জন্য গভীরতম তদবির চালাচ্ছে বলে জানাগেছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা দেলাওয়ার হোসেন বলেন, কাট শ্রমিক ওসমান গনিকে ৪/৫ মাস আগে রিজার্ভ বাগান থেকে বেশকিছু গাছ কর্তন করতে দেখেছি। মেনথং ম্রু বলেন, আমরা যাতায়াতের সময় গাছ কাটতে দেখেছি, তবে কারা কেটেছে তা আমরা জানিনা।

 

অভিযুক্ত তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলা মিথ্যা। যে গাছগুলোর অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পুরনো। বিগত বছরে কাটা গাছ গুলোকে নতুন দাবী করা হচ্ছে।

 

এই বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওসমান গনি একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে একটা তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন করতে হবে: মামুনুল হক

বনাঞ্চলের ৪০টি সেগুন গাছ আত্মসাৎ করলেন কর্মকর্তা, শ্রমিককে ফাঁসালেন মামলায়

আপডেট সময় ০৯:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

বান্দরবানের লামা বন বিভাগের অধীনস্থ কাকরাঝিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৪০ টি সেগুন গাছ আত্মসাৎ করে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নিজের গাছ চুরির কেলেঙ্কারি ঢাকতে মিথ্যা ও সাজানো বন মামলায় ফাঁসানো হয় কামলা দেওয়া শ্রমিক মো. উসমান গণিকে।

 

পরে মিথ্যা মামলার প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা, স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বেচু, আব্দুল জলিল ও দেলাওয়ারকে বিবাদী করে চট্টগ্রাম অঞ্চল বন সংরক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও লামা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওসমান গনি।

 

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোরবান ঈদের আগে ওমর ফারুক বেচু তার বাগানের গাছ কাটার কথা বলে মজুরি ভিত্তিক আরো ৯জন শ্রমিক সহ ঘটনাস্থল কাঁকরার ঝিরি নিয়ে যায়। এসময় বেচু মালিক সেজে ২ ও ৩নং আসামীগণকে বিক্রয়ের কথা বলে ৪০ টি গাছ কর্তন করার জন্য রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেয় এবং আমরা তা কর্তন করে আসামিগণদের বুঝিয়ে দিলে পিকাপ যোগে পরিবহণ করেন তারা। পরে জানতে পারলাম আমার নামে বন মামলা দায়ের করা হয়, যা ভিত্তিহীন।

 

এদিকে অভিযোগের পর মাতামুহুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, বিট অফিসার রনি ও মোস্তাফিজুর রহমান সহ ৩জন বিশিষ্ট তদন্ত টিম গেলো সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তৈন রেঞ্জের কাঁকড়ারঝিরি বনাঞ্চলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ভিকটিমসহ কয়েকজন স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

তদন্তকারী বিট অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি, শেষ হলে আমরা একটি লিখিত রিপোর্ট প্রকাশ করবো। তবে তদন্তকারী টিম ভিক্টিম উসমান গণিকে আপোষ মীমাংসার জন্য গভীরতম তদবির চালাচ্ছে বলে জানাগেছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা দেলাওয়ার হোসেন বলেন, কাট শ্রমিক ওসমান গনিকে ৪/৫ মাস আগে রিজার্ভ বাগান থেকে বেশকিছু গাছ কর্তন করতে দেখেছি। মেনথং ম্রু বলেন, আমরা যাতায়াতের সময় গাছ কাটতে দেখেছি, তবে কারা কেটেছে তা আমরা জানিনা।

 

অভিযুক্ত তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলা মিথ্যা। যে গাছগুলোর অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পুরনো। বিগত বছরে কাটা গাছ গুলোকে নতুন দাবী করা হচ্ছে।

 

এই বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওসমান গনি একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে একটা তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।