আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারেক রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ফ্যাসিবাদ ও গণতন্ত্রের সংকট নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি লেখেন, “ফ্যাসিস্ট কারো গায়ে সিল মারা নাই, ফ্যাসিবাদী বিরোধী আসিফ মাহমুদও এখন ফ্যাসিস্ট লুটপাটকারী। তার পিএস ও এপিএসের দুর্নীতি মামলা এখন ডিপ ফ্রিজে। সুতরাং কেউ কারো চেয়ে কম ফ্যাসিস্ট না। ফ্যাসিবাদ ট্যাগিং করে গণতন্ত্রের পথকে সংকীর্ণ করা যাবে না। এ চোরা গলিতে মুক্তি নাই।”
নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৫ আগস্টের আগে যে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল, মুক্তি পেয়ে সেই পুলিশকেই উদ্ধার করেছি। যারা আমার ওপর নিপীড়ন করেছে, তাদের প্রতিও ক্ষোভ গলিয়ে ফেলেছি। বেঁচে আছি, এই তো অনেক।”
তিনি আরও বলেন, “চুক্তি ছাড়া শান্তি হয় না, জিদ হলো ধারালো ব্লেড—যে সেটাকে জড়িয়ে ধরে, সে নিজেই ক্ষতবিক্ষত হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জিদ ধরে রাখলে কেউ জেতে না, জনগণও চায় না রক্তপাত। তারা চায় সামাজিক ও রাজনৈতিক চুক্তি, যা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করবে।”
বিএনপির ভূমিকা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “সকল দলের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বড় দল হিসাবে বিএনপিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পেয়েও ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন দিয়েছিলেন। তার মহানুভবতার ধারায় ফখরুল ভাই বলেছেন, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন চান।”
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, “যে জামাত নিজেই রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী, তাদের অধিকার নেই বলতে কে নির্বাচনে যাবে আর কে যাবে না। ৭১-এর যুদ্ধাপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়। তারা কৌশলে ক্ষমা চাইছে, কিন্তু ২০২৩ সালে আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে।”
তারেক রহমান আরও মন্তব্য করেন, “ফ্যাসিবাদ ফ্যাসিবাদ শুনতে জামাতের আমীরের ভালো লাগে না, কিন্তু যুগে যুগে ক্ষমতায় আসা সবাই কোনো না কোনোভাবে ফ্যাসিস্ট চরিত্র নেয়। আসিফ মাহমুদের মতো তরুণ নেতারাও এখন স্থানীয় পর্যায়ে দমন-পীড়নে জড়িত।”
সূত্র: মোঃ তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট, সাধারণ সম্পাদক, আমজনতার দল।









