আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিতদের দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি, এ বিষয়ে কোনো ধরনের বিরোধ যেন প্রতিপক্ষের সুযোগে পরিণত না হয়— সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন তিনি।
রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জানানোর পর নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করবে। বিএনপি ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে।”
তিনি জানান, দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। “গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনারা দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত হিসেবে মেনে নিন,” বলেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, “চারপাশে গুপ্ত স্বৈরাচার ওৎ পেতে আছে। প্রতিপক্ষ যেন আপনাদের মধ্যে বিরোধের সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
নারী নিরাপত্তা ইস্যুতেও গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “আমাদের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। অথচ তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের উদাসীনতা উদ্বেগজনক। আগস্ট মাসেই ৯৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ৭ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি নেতাকর্মীদের নারীদের সমস্যা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা এলাকার নারী ও শিশুদের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রস্তাব তৈরি করুন। রাষ্ট্র ও প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরও দায়িত্ব রয়েছে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির।”
অন্যদিকে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “বিগত ১৫-১৬ বছরে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারেননি। অথচ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তারা দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আন্দোলনে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”



















