ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির মনোনয়ন স্থগিত আলোচনায় নুর ও রনি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৭৮ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন স্থগিত থাকায় স্থানীয় রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। এতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা ও নানা গুঞ্জন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি পুনর্দখলের আশা করছিলেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু হঠাৎ মনোনয়ন স্থগিতের সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে দলের ভেতরে।

 

সাধারণ ভোটারদের ধারণা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবেই বিএনপি আপাতত সিদ্ধান্তটি স্থগিত রেখেছে। এদিকে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির ছোট ভাই গোলাম জিলানি জিল্লুর রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট—“প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ধরুন, ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ”—ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা আরও বেড়েছে।

 

দলের ঘোষিত ২৩৭টি আসনের তালিকায় পটুয়াখালী-৩ না থাকায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলছেন, এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।

দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু সিকদার বলেন,

 

“হাসান মামুন দুই যুগ ধরে শ্রম ও ত্যাগে আওয়ামী লীগের দুর্গে বিএনপিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলেছেন। তার বিকল্প ভাবা কঠিন। দলের বাইরে কাউকে চাপিয়ে দিলে আমরা তা মেনে নেব না।”

 

 

অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতা মিলন মিয়া জানান,

 

 

“নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা চলছে। জোট না হলেও তিনি স্বতন্ত্রভাবে ভোটে অংশ নেবেন।”

 

একই সময়ে গোলাম জিলানি জিল্লুর পোস্ট ঘিরে রনিকে ঘিরেও নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম মাওলা রনি বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামতে পারেন। জিল্লু নিজেও বলেন,

 

“বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ভাই অতটা আগ্রহী নন, তবে নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে থাকলে তিনি স্বতন্ত্রভাবে লড়তে পারেন।”

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পটুয়াখালী-৩ আসনে এখন তিন দিকের টানাপোড়েন—বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ ও গোলাম মাওলা রনি—যা নির্বাচনের শেষ সময়ে বড় ধরনের চমক তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরপরাধ মানুষ হত্যা পৃথিবীকে হত্যার সমতুল্য

বিএনপির মনোনয়ন স্থগিত আলোচনায় নুর ও রনি

আপডেট সময় ০৯:১৪:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন স্থগিত থাকায় স্থানীয় রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। এতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা ও নানা গুঞ্জন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি পুনর্দখলের আশা করছিলেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু হঠাৎ মনোনয়ন স্থগিতের সিদ্ধান্তে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে দলের ভেতরে।

 

সাধারণ ভোটারদের ধারণা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবেই বিএনপি আপাতত সিদ্ধান্তটি স্থগিত রেখেছে। এদিকে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির ছোট ভাই গোলাম জিলানি জিল্লুর রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট—“প্রিয় গলাচিপা-দশমিনাবাসী, আপনারা ধৈর্য ধরুন, ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ”—ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা আরও বেড়েছে।

 

দলের ঘোষিত ২৩৭টি আসনের তালিকায় পটুয়াখালী-৩ না থাকায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলছেন, এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।

দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু সিকদার বলেন,

 

“হাসান মামুন দুই যুগ ধরে শ্রম ও ত্যাগে আওয়ামী লীগের দুর্গে বিএনপিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলেছেন। তার বিকল্প ভাবা কঠিন। দলের বাইরে কাউকে চাপিয়ে দিলে আমরা তা মেনে নেব না।”

 

 

অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতা মিলন মিয়া জানান,

 

 

“নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা চলছে। জোট না হলেও তিনি স্বতন্ত্রভাবে ভোটে অংশ নেবেন।”

 

একই সময়ে গোলাম জিলানি জিল্লুর পোস্ট ঘিরে রনিকে ঘিরেও নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সাবেক সংসদ-সদস্য গোলাম মাওলা রনি বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামতে পারেন। জিল্লু নিজেও বলেন,

 

“বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ভাই অতটা আগ্রহী নন, তবে নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে থাকলে তিনি স্বতন্ত্রভাবে লড়তে পারেন।”

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পটুয়াখালী-৩ আসনে এখন তিন দিকের টানাপোড়েন—বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ ও গোলাম মাওলা রনি—যা নির্বাচনের শেষ সময়ে বড় ধরনের চমক তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।