ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতে ইসলমীর “আঙুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’’ জনগণ ১৯৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে: প্রিন্স

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, জামায়াতে ইসলমীর “আঙুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া“ জনগণ ১৯৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জনগণ আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত তাদের প্রভু পাক বাহিনীসহ তাদের রাজাকার বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে মোকাবিলা করে দেশ স্বাধীন করেছে।

 

তিনি শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

 

 

সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগের মতোই জামায়াতসহ কয়েকটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী তালিকা, নির্বাচন প্রস্তুতি ও জন সমর্থন দেখে তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে দিতে গণ ভোটসহ বিভিন্ন নন ইস্যুকে ইস্যু বানাতে উত্তেজনাকর কথা বলে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। এরা কিছুদিন পিআর, জুলাই সনদ নিয়ে সোরগোল করার চেষ্টা করেছে। জন সমর্থন না পেয়ে এখন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের জন্য হৈ চৈ করছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার প্রজেক্ট।

 

পিআরসহ গণভোটের এই প্রজেক্ট আধিপত্যবাদের সাপ্লাই করা। আধিপত্যবাদ পুনরায় আওয়ামী ফ্যসিবাদকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করতে নির্বাচন বানচালের এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারা যুক্ত হবে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, গণভোট এবং সংসদ নির্বাচন একই দিনে একসাথে করতে হবে। এর ব্যতিক্রম বিএনপি ও জনগণ মেনে নিবে না।

 

সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স তাঁকে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এবার বিএনপি জনসমর্থন এবং দল ও আন্দোলনে ভূমিকা বিবেচনায় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। তিনি বিএনপির সকল নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতি ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

 

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি ঘরে ঘরে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিয়ে ধানের শীষ এর পক্ষে ভোট প্রার্থনার আহবান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি জন রয়ে বিজয়ী হয়ে দেশ ও জগনের কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিবে এবং মুক্তিযুদ্ধ, সিপাহী জনতার বিপ্লব ও ছাত্র গণ অভ্যুত্থানের আকাঙক্ষা বাস্তবায়ন করে নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

 

সমাবেশ ও মিছিলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ রাব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার, মাহবুবুল আলম বাবুল, গাজিউর রহমান, জাকিরুল ইসলাম টোটন, হুমায়ূন কবীর, আবদুল মমিন শাহীনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

ধোবাউড়া উপজেলা সদরের মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল ধোবাউড়া থানা রোড, ব্রিজ, ধান মহাল, বাজার, উপজেলা পরিশদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মাদরাসা মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সুবিশাল এই মিছিলে নারী উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিছিলটি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার স্লোগানে মুখোরিত হয়ে এক পর্যায়ে নির্বাচনি মিছিলে পরিণত হয়।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ফজলুর রহমান: ‘ফজু পাগলা’ উপাধি নিয়ে আনন্দিত

জামায়াতে ইসলমীর “আঙুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’’ জনগণ ১৯৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে: প্রিন্স

আপডেট সময় ০১:০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

 

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, জামায়াতে ইসলমীর “আঙুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া“ জনগণ ১৯৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জনগণ আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত তাদের প্রভু পাক বাহিনীসহ তাদের রাজাকার বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে মোকাবিলা করে দেশ স্বাধীন করেছে।

 

তিনি শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

 

 

সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগের মতোই জামায়াতসহ কয়েকটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী তালিকা, নির্বাচন প্রস্তুতি ও জন সমর্থন দেখে তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে দিতে গণ ভোটসহ বিভিন্ন নন ইস্যুকে ইস্যু বানাতে উত্তেজনাকর কথা বলে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। এরা কিছুদিন পিআর, জুলাই সনদ নিয়ে সোরগোল করার চেষ্টা করেছে। জন সমর্থন না পেয়ে এখন জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের জন্য হৈ চৈ করছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার প্রজেক্ট।

 

পিআরসহ গণভোটের এই প্রজেক্ট আধিপত্যবাদের সাপ্লাই করা। আধিপত্যবাদ পুনরায় আওয়ামী ফ্যসিবাদকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করতে নির্বাচন বানচালের এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারা যুক্ত হবে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, গণভোট এবং সংসদ নির্বাচন একই দিনে একসাথে করতে হবে। এর ব্যতিক্রম বিএনপি ও জনগণ মেনে নিবে না।

 

সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স তাঁকে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এবার বিএনপি জনসমর্থন এবং দল ও আন্দোলনে ভূমিকা বিবেচনায় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। তিনি বিএনপির সকল নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রতি ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

 

 

তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি ঘরে ঘরে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিয়ে ধানের শীষ এর পক্ষে ভোট প্রার্থনার আহবান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি জন রয়ে বিজয়ী হয়ে দেশ ও জগনের কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিবে এবং মুক্তিযুদ্ধ, সিপাহী জনতার বিপ্লব ও ছাত্র গণ অভ্যুত্থানের আকাঙক্ষা বাস্তবায়ন করে নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

 

সমাবেশ ও মিছিলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ রাব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার, মাহবুবুল আলম বাবুল, গাজিউর রহমান, জাকিরুল ইসলাম টোটন, হুমায়ূন কবীর, আবদুল মমিন শাহীনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

ধোবাউড়া উপজেলা সদরের মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল ধোবাউড়া থানা রোড, ব্রিজ, ধান মহাল, বাজার, উপজেলা পরিশদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মাদরাসা মাঠে গিয়ে শেষ হয়। সুবিশাল এই মিছিলে নারী উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিছিলটি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার স্লোগানে মুখোরিত হয়ে এক পর্যায়ে নির্বাচনি মিছিলে পরিণত হয়।