শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, “খুনি হাসিনার গুম-খুন ও জুলমের শিকার সবচেয়ে বেশি হয়েছে বিএনপি। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে দেশজুড়ে জুলাইযোদ্ধাসহ সব তরুণ-যুবককে একত্রিত করে ফ্যাসিবাদীব্যবস্থা চিরজীবনের জন্য বিলুপ্ত করতে হবে।”
রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের মীর মুগ্ধ স্কয়ারে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র-জনতা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মীর স্নিগ্ধ বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রামী জীবন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই বিএনপিতে যোগ দিয়েছি।”
সমাবেশস্থলে পৌঁছালে হাজারো ছাত্র-জনতা মিছিল ও পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় থেকে মীর স্নিগ্ধকে বরণ করে নেয়। এটি ছিল বিএনপিতে যোগদানের পর তাঁর প্রথম রাজনৈতিক ভাষণ।
বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, “পুণ্যভূমি শিবগঞ্জের মহাস্থান থেকে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। খুনি হাসিনা আমার ভাইসহ দুই হাজার ভাই-বোনকে হত্যা করেছে, ২০ হাজারকে আহত করেছে। ভাইয়ের মৃত্যুর পরও খুনি হাসিনার দেওয়া ব্ল্যাংক চেকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা আপস করিনি। খুনি হাসিনার বিচার এই দেশেই হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী মীর শাহে আলম বলেন, “বিএনপি জুলাইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি—এটি শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ বিএনপিতে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো।”
উল্লেখ্য, শহীদ মীর মুগ্ধ জুলাইযোদ্ধাদের পানি খাওয়ানোর সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। মৃত্যুর আগে তাঁর ‘পানি লাগবে পানি’—এই আহ্বান কোটি মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়।





















