ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে ওএমএস ডিলারের মালামাল লুট, থানায় অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

 

চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডিলারশিপকে কেন্দ্র করে হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। রবিবার (৯ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

ভুক্তভোগী ডিলার মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা (৩৫), পিতা আন্দুর রব মোল্লা, চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে মহিউদ্দিন মোল্লা উল্লেখ করেন, প্রায় তিন মাস আগে তিনি খাদ্য অফিস থেকে ওএমএস ডিলারশিপের অনুমোদন পান। ব্যবসা শুরু করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন— ১. মোঃ ইউসুফ মিয়াজী (৪০), ২. মোঃ হাসেম খাঁ (৩৫), ৩. মোঃ শরীফ (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন— তাকে এককভাবে ব্যবসা করতে না দেওয়ার হুমকি দেন। পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

তবে অভিযোগে বলা হয়, গত তিন মাস ধরে ওই পক্ষ মহিউদ্দিন মোল্লার প্রাপ্য লভ্যাংশ ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার বিকেলে তিনি বিবাদীদের গোডাউন থেকে নিজের দোকানে ওএমএসের পণ্য নিয়ে আসেন। তখন অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে পণ্য লুট করে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধর করে।

 

এ সময় মহিউদ্দিনের সহযোগী দীপক মজুমদার (৩৫) বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা কাঠের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। অপর সহযোগী নাছির উদ্দিনকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

 

 

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা দোকানের শাটার ভেঙে ভেতরে ভাঙচুর চালায়, পরে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং যাওয়ার সময় মহিউদ্দিন ও তার সহযোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

 

মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, “ওএমএস ডিলারশিপ নেওয়ার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এখন আমার দোকানের সব মালামাল নিয়ে গেছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি।”

 

 

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালের ইএমও মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, “আহত দীপক মজুমদার ও নাছির উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে হাতে, পিঠে ও নাকে আঘাতজনিত রক্তক্ষরণ হয়েছে।”

 

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে উপদেষ্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণ

চাঁদপুরে ওএমএস ডিলারের মালামাল লুট, থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

 

চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডিলারশিপকে কেন্দ্র করে হামলা ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। রবিবার (৯ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

ভুক্তভোগী ডিলার মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা (৩৫), পিতা আন্দুর রব মোল্লা, চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে মহিউদ্দিন মোল্লা উল্লেখ করেন, প্রায় তিন মাস আগে তিনি খাদ্য অফিস থেকে ওএমএস ডিলারশিপের অনুমোদন পান। ব্যবসা শুরু করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন— ১. মোঃ ইউসুফ মিয়াজী (৪০), ২. মোঃ হাসেম খাঁ (৩৫), ৩. মোঃ শরীফ (৪৫) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন— তাকে এককভাবে ব্যবসা করতে না দেওয়ার হুমকি দেন। পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।

 

 

তবে অভিযোগে বলা হয়, গত তিন মাস ধরে ওই পক্ষ মহিউদ্দিন মোল্লার প্রাপ্য লভ্যাংশ ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিবার বিকেলে তিনি বিবাদীদের গোডাউন থেকে নিজের দোকানে ওএমএসের পণ্য নিয়ে আসেন। তখন অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে পণ্য লুট করে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধর করে।

 

এ সময় মহিউদ্দিনের সহযোগী দীপক মজুমদার (৩৫) বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা কাঠের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। অপর সহযোগী নাছির উদ্দিনকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

 

 

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা দোকানের শাটার ভেঙে ভেতরে ভাঙচুর চালায়, পরে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং যাওয়ার সময় মহিউদ্দিন ও তার সহযোগীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

 

মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, “ওএমএস ডিলারশিপ নেওয়ার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এখন আমার দোকানের সব মালামাল নিয়ে গেছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি।”

 

 

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালের ইএমও মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, “আহত দীপক মজুমদার ও নাছির উদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে হাতে, পিঠে ও নাকে আঘাতজনিত রক্তক্ষরণ হয়েছে।”

 

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।