জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রায় সাড়ে তিন মাসের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে দশ বছর বয়সী যমজ দুই শিশু—সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তারা গুরুতর আহত হয়েছিল।
বুধবার সকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই শিশুকে বিদায় জানান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, “মাইলস্টোন স্কুলের বিমান দুর্ঘটনায় আহত ৫৭ জন আমাদের ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। একজনকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আর তিনজন এখনো চিকিৎসাধীন—তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত।”
যমজ দুই শিশুর মধ্যে সায়রা ৩০ শতাংশ এবং সায়মা ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসক নাসির উদ্দিন বলেন, “আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা প্রত্যেক রোগীর প্রতি আন্তরিক ছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও জানান, আহত যারা বাড়ি ফিরেছেন, তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং ফলোআপ চিকিৎসা দিচ্ছে। এছাড়া তিনি সিঙ্গাপুর, ভারত, চীন ও যুক্তরাজ্যসহ বিদেশি চিকিৎসকদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
যমজ দুই শিশুর বাবা-মা ইয়াসিন মজুমদার ও আকলিমা আক্তার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সেবা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ ওই ঘটনায় ৩৬ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পাইলটের উড্ডয়নজনিত ত্রুটি চিহ্নিত করেছে।


























