প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন, সংসদের উচ্চকক্ষে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতি চালু করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের প্রথম ১৮০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধন করা হবে এবং পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ গঠন সম্পন্ন করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস আরও জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে নির্ধারিত নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজন করা হবে। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া হবে আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী, এবং সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের প্রশ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি প্রশ্নটি পাঠ করে শোনান:
“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”
প্রস্তাবগুলোর মূল দিকগুলো হলো—
ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় গঠিত হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট, যেখানে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে গঠিত হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
গ) নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ ৩০টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটে ভোটাররা এই চারটি বিষয়ে একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবেন।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেন।























