ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরতে চান, তবে তার আগে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি। দিল্লির এক অজ্ঞাতস্থানে অবস্থানরত হাসিনা বলেন, সেখানে তিনি তুলনামূলকভাবে স্বাধীনভাবে সময় কাটাতে পারছেন এবং যুক্তিসঙ্গত সীমার মধ্যে নিজের ইচ্ছামতো চলাফেরা করতে পারছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেন। তার দাবি, উগ্রপন্থিরা ইউনূসকে আন্তর্জাতিক পরিসরে ‘ব্যবহার’ করছে।
অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনটি প্রথমে ছিল শান্তিপূর্ণ এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে। দাবি মেনে নেওয়ার পরও একটি উগ্রপন্থি গোষ্ঠী আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়। তিনি বলেন, ফরেনসিক রিপোর্টে কিছু বিদেশি ভাড়াটে উস্কানিদাতার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার ধারণা, ইউনূস ও তার অনুসারীরাই এই সহিংসতা উস্কে দিয়েছিল।
নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগকে মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তৈরি বলে উল্লেখ করেন তিনি। হাসিনার ভাষায়, ইউনূসের শাসনে বাংলাদেশের সহনশীল ও শান্ত সমাজ উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছে, মন্ত্রিসভার ভেতরেও উগ্রপন্থিদের প্রভাব বেড়েছে। এর ফলে সংখ্যালঘুরা ভবিষ্যতে টার্গেটে পরিণত হতে পারে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, দেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে।
সূত্র: মানবজমিন

























