গোপালগঞ্জ-২ (সদর ও কাশিয়ানি আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে বঞ্চিত তিন প্রার্থী বৃহস্পতিবার শহরে বিশাল শোডাউন করেছেন। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ও যানবাহনের মিছিল বের হয়। তারা অভিযোগ করেন, ঘোষিত প্রার্থী ডা. কে এম বাবর আলী জনবিচ্ছিন্ন ও অজনপ্রিয়।
৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন, যেখানে গোপালগঞ্জ-২–এ মনোনয়ন পান ডা. বাবর আলী। ২৪ দিন পর এ মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানালেন অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
এম এইচ খান মঞ্জু বলেন, “গোপালগঞ্জ-২ আসনে বাবর আলীকে নয়, গ্রহণযোগ্য কাউকে মনোনয়ন দিতে হবে।” সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, “গোপালগঞ্জে বিএনপি টিকে আছে আমাদের ত্যাগের কারণে, অথচ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এমন একজনকে যাঁর নামে একটি মামলাও নেই।” একই বক্তব্য দেন তৌহিদুর রহমান তাজও।
ফেনী-৩–এ আবদুল আউয়াল মিন্টুর পথে বাধা
ফেনী-৩ (সোনাগাজী–দাগনভূঞা) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গেলে তাঁর পথসভা ও গণসংযোগে বাধা সৃষ্টি হয়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে পৌরসভার জিরো পয়েন্টে ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে তাঁর বহর থামিয়ে দেওয়া হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যারিকেড সরিয়ে দিলে তিনি নিজ বাড়িতে পৌঁছান। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু মিন্টুর ভাই আকবর হোসেন, যিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। তাঁর বিরোধীদের দাবি—কমিটি বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৫–এ জোট নয়, বিএনপির প্রার্থী দাবি
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর–নিকলী) আসনে জোট নয়, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী চেয়ে সমাবেশ করেছেন স্থানীয় নেতারা। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবালের পক্ষে আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এলাকার রাজনীতিতে বিএনপির শক্ত অবস্থান রয়েছে; তাই জোটগত সমঝোতার কারণে বাইরে থেকে কাউকে প্রার্থী দিলে বিএনপি এ আসন হারাবে।
সমাবেশে ইকবাল বলেন, “দুর্দিনে আমি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। মামলার মুখে লড়াই করেছি। তাই দলীয় মনোনয়ন আমার প্রাপ্য।”


























