দেশের তিনটি ইসলামি দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘বৃহত্তর সুন্নি জোট’ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদাভিত্তিক সারা দেশের ১২ হাজার মাজার-দরবারকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার উদ্যোগ চলছে। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সমমনা দল যুক্ত করে জোটকে আরও সম্প্রসারণের কাজও এগিয়ে চলছে।
এই জোটের পক্ষে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তারা, বিশেষত গিয়াস উদ্দিন আততাহেরীসহ বিভিন্ন বক্তা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
যে তিন দল মিলে জোটটি গঠিত হয়েছে:
- বাংলাদেশী ইসলামী ফ্রন্ট
- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)
মাজার-দরবারে হামলা ও ভাঙচুর, আলেম-ওলামা হত্যাসহ নানা ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যেই এ জোটের গঠন—জানা গেছে এমনটাই।
তিন চেয়ারম্যানই নির্বাচনে প্রার্থী হবেন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের চেয়ারম্যানরা তাদের নিজ নিজ প্রতীকে প্রার্থী হবেন। তারা হলেন—
- মাওলানা এম এ মতিন (মোমবাতি) — চেয়ারম্যান, ইসলামী ফ্রন্ট
- আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদি (চেয়ার) — চেয়ারম্যান, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ
- সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ আল হাসানি আল মাইজভান্ডারি (একতারা) — চেয়ারম্যান, বিএসপি
ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যানের বক্তব্য
ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন জানিয়েছেন, অধিকার আদায় ও রাষ্ট্রীয় কল্যাণে সংসদে যাওয়া অপরিহার্য। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র «হত্যা হয়েছে» উল্লেখ করে তাদের দল কখনও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, কখনও বয়কট করেছে।
তিনি বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থান ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণতান্ত্রিক উত্তরণ শুরু হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে তিন দলের সমন্বয়ে জোট গঠন করা হয়েছে।
৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও কে কোন আসনে লড়বেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
জোটের ঘোষণা ও জনসভা কর্মসূচি
গত ৩০ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বৃহত্তর সুন্নি জোট’ আত্মপ্রকাশ করে।
১৩ দফা দাবি নিয়ে জোট বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে জনসভা করছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের লালদিঘিতে বৃহৎ সমাবেশ হয়েছে।
আগামীর কর্মসূচি—
- ১০ ডিসেম্বর – সিলেট
- ২২ ডিসেম্বর – কুমিল্লা
- এরপর নারায়ণগঞ্জ
- সর্বশেষ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ
জোটের ১৩ দফার উল্লেখযোগ্য দাবি
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
- নির্বাচনের আগে কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার
- দুর্নীতিবাজ, কালোটাকার মালিক ও অর্থপাচারকারীদের অযোগ্য ঘোষণা
- জুলাই ও পরবর্তী সব হত্যাকাণ্ডের বিচার
- পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
- চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি নিয়ন্ত্রণে না দেওয়া
- আরাকান আর্মিকে করিডর না দেওয়া

























