পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে একটি যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়, যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিএনপি ও জামায়াত-শিবির দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিএনপি নেতারা যুবকটিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মী দাবি করলেও, জামায়াতে ইসলামী নেতারা তাকে বিএনপির কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।
জামায়াত-শিবির মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের কারো কাছে অস্ত্র ছিল না। আমরা অস্ত্রের রাজনীতি করি না। আমাদের উপর বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মীকে আহত করেছে।”
অন্যদিকে, সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মক্কেল মৃধা জানান, “অস্ত্রধারী ওই যুবক জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তাকে শনাক্ত করা হয়েছে—তার নাম তুষার হোসেন। সে ভেলুপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে এবং প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের নিকটতম প্রতিবেশী।”
পুলিশ বিষয়টি যাচাই করছে। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “ছবিটি আমরা দেখেছি। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”


























