বাউল আবুল সরকারকে গ্রেফতার এবং মানিকগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত ‘গানের আর্তনাদ’ কর্মসূচিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর শাহবাগে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে আকস্মিকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে ধস্তাধস্তি ও ব্যানার ভাঙচুরে রূপ নেয়।
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, ‘কনসার্ট ফর ঢাকা’ থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক জুলাই মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। তারা দাবি করেন, হামলাকারীরা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই চারপাশে জড়ো হয়ে ছিল এবং মাইকে এসে আবুল সরকারের নাম বাদ দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এর পরেই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সামি আবদুল্লাহ বলেন, “এটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত হামলা। আমাদের ব্যানার ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং কর্মসূচি নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছে।” অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত মিশকাত তানিশা অভিযোগ করেন, “আমাকে জুতা তুলে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, একই সময়ে শাহবাগে জুলাই মঞ্চ ‘ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি’ দাবিতে আলাদা সমাবেশ আয়োজন করে। তাদের পক্ষের মাসুম বিল্লাহ দাবি করেন, “আমরা শুধু বলেছিলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারীদের পক্ষ নিয়ে কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন করা উচিত নয়।” জুলাই মঞ্চের আরেক সদস্য ওয়াসীর বলেন, “তারা বাউলদের পক্ষে আন্দোলন করুক, কিন্তু আবুল সরকারের নাম মুছে দিতে হবে।”
‘গানের আর্তনাদ’ আয়োজকদের একজন মার্জিয়া প্রভা বলেন, “হামলা ও ব্যাকড্রপ ভাঙচুরের পরও আমাদের কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। আমরা হামলাকারীদের প্রতিরোধ করেছি। সন্ধ্যা ৬টায় মশাল মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
























