একজন মুমিনের ঈমানকে পরিপূর্ণ করতে বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি বিয়ে করল, সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল। অতএব, বাকি অর্ধেকের বিষয়ে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” (বায়হাকি, শুআবুল ইমান)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) যুবকদের উদ্দেশে বলেন—
“তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, সে যেন বিয়ে করে। কারণ বিয়ে দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যে সক্ষম নয়, সে রোজা রাখবে, কারণ রোজা তার প্রবৃত্তিকে দমন করবে।” (বুখারি, মুসলিম)
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে নববী নির্দেশনা
বিয়ের ক্ষেত্রে বাহ্যিক সৌন্দর্য বা সম্পদ নয়, বরং চরিত্র ও দ্বীনদারীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেছেন নবী করিম (সা.)। তিনি বলেন—
“নারীদের চারটি গুণ দেখে বিয়ে করা হয়—ধন-সম্পদ, বংশমর্যাদা, সৌন্দর্য ও দ্বীনদারী। তবে তুমি দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে; অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস ৫০৯০)
একইভাবে পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দিয়েছেন—
“যখন এমন কোনো ব্যক্তি প্রস্তাব দেয় যার দ্বীন ও চরিত্র তোমাদের পছন্দ হয়, তখন তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করো। অন্যথায় সমাজে বিপর্যয় ও ফিতনা দেখা দেবে।” (তিরমিজি, হাদিস ১০৮৪–৮৫)
পাত্র-পাত্রীকে দেখা ও জানার গুরুত্ব
হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বলেন, তিনি একজন নারীকে বিয়ে করতে চাইলে নবী (সা.) বলেন—
“তুমি কি তাকে দেখেছ?”
তিনি না বললে নবী (সা.) বলেন,
“তাকে দেখে নাও, এতে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা দৃঢ় হবে।” (মিশকাত, হাদিস ৩১০৭)
অন্য এক ঘটনায়, একজন ব্যক্তি আনসার গোত্রের এক মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে নবী (সা.) বলেন—
“তাকে দেখেছ কি? কারণ আনসারদের চোখে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে।” (সহিহ মুসলিম)
এ থেকে বোঝা যায়, বিয়ের আগে শুধু দেখা নয়; বরং উভয় পক্ষের কোনো শারীরিক বা মানসিক ত্রুটি থাকলে তা জানার অধিকারও রয়েছে।




















