বিডিআর বিদ্রোহ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ২০০৯ সালের ২৫–২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের বর্বর হামলায় প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই ঘটনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে নতুন করে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।
রবিবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন তাদের বিস্তৃত তদন্তপ্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। এরপর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান—এই হত্যাযজ্ঞ ছিল সুপরিকল্পিত, উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামো দুর্বল করা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা।
তিনি দাবি করেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শেখ ফজলে নূর তাপস, এবং এ ঘটনায় দলগতভাবে ভূমিকা রেখেছে আওয়ামী লীগ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়—দলের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা, তার ঘনিষ্ঠ বিশ্বস্ত শেখ হেলাল, এবং প্রতিবেশি ভারতের সংশ্লিষ্টতারও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের আগে সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—বিদ্রোহটি ছিল আকস্মিক নয়; বরং এর পেছনে ছিল সুদূরপ্রসারী ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা। দায় এড়াতে পারে না তৎকালীন সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান পর্যন্ত কেউই।
পিলখানার সেই হত্যাযজ্ঞ এখনও দেশের মানুষের হৃদয়ে দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। নতুন তদন্তপ্রতিবেদন আলো ফেললেও রয়ে গেছে বহু প্রশ্ন। আর বিচার ও জবাবদিহির অপেক্ষায় এখনো মুখিয়ে আছে পুরো জাতি।




















