মুক্তিযুদ্ধ ও স্থানীয় ইতিহাসের তিন শতাধিক আলোকচিত্র, দুষ্প্রাপ্য দলিল, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত ভাঙা কাঠের বন্দুক, পোশাক, রান্নার সামগ্রীসহ বহু প্রত্ননিদর্শন সংরক্ষিত ছিল বরগুনা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সেখানে হামলা চালিয়ে এসব জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুট করা হয়। এরপর থেকে জাদুঘরের কক্ষগুলো তালাবদ্ধ পড়ে আছে, আর লুট হওয়া সামগ্রী ফেরত চাইলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
১৯৯৫ সালে আলোকচিত্র প্রদর্শনী দিয়ে যাত্রা শুরু করা এ উদ্যোগ পরবর্তীতে সরকারি জাতীয় কর্মসূচির অংশ হয়ে ওঠে এবং ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রূপ নেয়। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও বেতাগীর শাহি মসজিদ, মজিদবাড়িয়া মসজিদসহ নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, তিমির হাড়, পুরোনো রেডিও–টিভি, মুদ্রার সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক উপাদান রাখা ছিল এখানে।
হামলার সময় কাচের টেবিল ভেঙে ফেলা হয়, দলিলপত্র ছিঁড়ে নষ্ট করা হয়, বহু সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ছাত্র সংগঠনের কিছু সদস্য জাদুঘরটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংরক্ষণের চেষ্টা করলেও মূল নিদর্শনগুলো আর উদ্ধার হয়নি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জাদুঘরটি পুনর্নির্মাণ ও লুট হওয়া দলিলপত্র উদ্ধারের দাবি জানালেও জেলা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য এখনো জানা যায়নি।


























