মার্কিন বাজারে সস্তায় অতিরিক্ত চাল রপ্তানির কারণে ভারতের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন, কৃষিপণ্য আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি তিনি বিবেচনা করছেন—বিশেষ করে ভারতের চাল এবং কানাডার সার আমদানির ক্ষেত্রে। তাঁর অভিযোগ, দুই দেশের সঙ্গেই চলমান বাণিজ্য আলোচনায় তেমন অগ্রগতি হয়নি।
স্থানীয় সময় সোমবার (৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসের এক বৈঠকে আমদানিকৃত কৃষিপণ্যের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকান কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেন।
বৈঠকে কিছু মার্কিন কৃষক অভিযোগ করেন, দেশীয় ভর্তুকি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি দেশের বাজারে ক্ষতি করছে। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “তাদের সস্তায় চাল বিক্রি করা উচিত নয়। এটা ঠিক না।”
অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, “কেন ভারতকে এটি করতে দেওয়া হচ্ছে? চাল আমদানিতে কি কোনো ছাড় আছে?” উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি এখনো প্রক্রিয়াধীন। এরপর ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, “তাদের সস্তায় চাল বিক্রি করা চলবে না—এটার শেষ হওয়া প্রয়োজন।”
ট্রাম্প আরও জানান, আমদানি করা কৃষিপণ্য মার্কিন কৃষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং তাদের সুরক্ষায় শুল্ক আরোপই কার্যকর সমাধান।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা চাল বাজারের দুটি শীর্ষ ব্র্যান্ডের মালিক, তাই সস্তায় চাল কেনা সীমিত করা জরুরি।
গত এক দশকে ভারত–মার্কিন কৃষি বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে—ভারত থেকে বাসমতি চাল, অন্যান্য চালজাত পণ্য, মশলা ও সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র; আর ভারত আমদানি করে বাদাম, তুলা ও বিভিন্ন ডাল।
























