ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাঁটার সময় আচমকা মা ডাক শুনতে পান সাজিদের মা রুনা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

 

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের আশায় টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে উদ্ধার অভিযান।

ইতোমধ্যে তিনটি এক্সকাভেটরের সাহায্যে পাশেই আরও একটি ৪০ ফুট গভীর গর্ত করে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করেছে উদ্ধারকর্মীরা। সেখান থেকে মূল গর্তের দিকে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটিকে নাগালে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মা রুনা খাতুনের পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ খড় দিয়ে ঢাকা একটি পরিত্যক্ত বোরিং-এর গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। তখনই গর্তের ভেতর থেকে ‘মা, মা’ বলে তার কান্নার শব্দ শোনা যায়। পরিবার ও স্থানীয়রা উদ্ধার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানানো হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

জানা যায়, এক বছর আগে সেচের জন্য সেমিডিপ নলকূপ বসাতে গিয়ে জমির মালিক কছির উদ্দিন এ গর্তটি খনন করেছিলেন। পরে পানি না পাওয়ায় কাজটি পরিত্যক্ত হয়ে দীর্ঘদিন খোলা অবস্থাতেই পড়ে থাকে।

বৃহস্পতিবার ভোরে পাশের ৪০ ফুট গর্ত খনন শেষ করে উদ্ধারকর্মীরা। সেখান থেকে টিউবওয়েলের গর্তের দিকে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। কিন্তু এখনো শিশুটির দেখা মেলেনি।

আরেকদিকে, সন্তানকে হারানোর আশঙ্কায় দিশেহারা সাজিদের মা রুনা বেগম। তিনি জানান, জ্বরে অসুস্থ থাকার কারণে ছেলেটি দাদার সঙ্গে হাটে যেতে পারেনি। সকালে ওষুধ খাইয়ে সুস্থ করে তুলতে চাইলেও মুহূর্তেই ঘটে যায় এই অঘটন। ছেলের কথা বলতে বলতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন তিনি।

উদ্ধারকর্মীরা জানাচ্ছেন, শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


 

জনপ্রিয় সংবাদ

হাঁটার সময় আচমকা মা ডাক শুনতে পান সাজিদের মা রুনা

আপডেট সময় ০১:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

 

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের আশায় টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলছে উদ্ধার অভিযান।

ইতোমধ্যে তিনটি এক্সকাভেটরের সাহায্যে পাশেই আরও একটি ৪০ ফুট গভীর গর্ত করে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করেছে উদ্ধারকর্মীরা। সেখান থেকে মূল গর্তের দিকে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শিশুটিকে নাগালে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মা রুনা খাতুনের পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ খড় দিয়ে ঢাকা একটি পরিত্যক্ত বোরিং-এর গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। তখনই গর্তের ভেতর থেকে ‘মা, মা’ বলে তার কান্নার শব্দ শোনা যায়। পরিবার ও স্থানীয়রা উদ্ধার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানানো হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

জানা যায়, এক বছর আগে সেচের জন্য সেমিডিপ নলকূপ বসাতে গিয়ে জমির মালিক কছির উদ্দিন এ গর্তটি খনন করেছিলেন। পরে পানি না পাওয়ায় কাজটি পরিত্যক্ত হয়ে দীর্ঘদিন খোলা অবস্থাতেই পড়ে থাকে।

বৃহস্পতিবার ভোরে পাশের ৪০ ফুট গর্ত খনন শেষ করে উদ্ধারকর্মীরা। সেখান থেকে টিউবওয়েলের গর্তের দিকে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। কিন্তু এখনো শিশুটির দেখা মেলেনি।

আরেকদিকে, সন্তানকে হারানোর আশঙ্কায় দিশেহারা সাজিদের মা রুনা বেগম। তিনি জানান, জ্বরে অসুস্থ থাকার কারণে ছেলেটি দাদার সঙ্গে হাটে যেতে পারেনি। সকালে ওষুধ খাইয়ে সুস্থ করে তুলতে চাইলেও মুহূর্তেই ঘটে যায় এই অঘটন। ছেলের কথা বলতে বলতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন তিনি।

উদ্ধারকর্মীরা জানাচ্ছেন, শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।