ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের পর পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনি নিজেকে অপমানিত বোধ করছেন।

ঢাকায় বঙ্গভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারটি প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে থাকায় রাষ্ট্রপতির পদ অনেকটাই আলংকারিক। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে চাই। তবে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমি সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত রাষ্ট্রপতির পদ ধরে রেখেছি।”

রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেননি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির প্রেস বিভাগ সরানো হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশন থেকে তার প্রতিকৃতি হঠাৎ সরিয়ে ফেলা হয়। সাহাবুদ্দিন বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্টের ছবি সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে ছিল, আর এক রাতে হঠাৎ তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায় যে হয়তো প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি।”

রাষ্ট্রপতি জানান, প্রতিকৃতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি ড. ইউনূসকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। “আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে,” তিনি যোগ করেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস কর্মকর্তারা মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।

সাহাবুদ্দিন আরও জানিয়েছেন, তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

৭৫ বছর বয়সী মো. সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান, যার পর সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ

নির্বাচনের পর পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পদত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনি নিজেকে অপমানিত বোধ করছেন।

ঢাকায় বঙ্গভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারটি প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে থাকায় রাষ্ট্রপতির পদ অনেকটাই আলংকারিক। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে চাই। তবে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমি সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত রাষ্ট্রপতির পদ ধরে রেখেছি।”

রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেননি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির প্রেস বিভাগ সরানো হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশন থেকে তার প্রতিকৃতি হঠাৎ সরিয়ে ফেলা হয়। সাহাবুদ্দিন বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্টের ছবি সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে ছিল, আর এক রাতে হঠাৎ তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায় যে হয়তো প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি।”

রাষ্ট্রপতি জানান, প্রতিকৃতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি ড. ইউনূসকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। “আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে,” তিনি যোগ করেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস কর্মকর্তারা মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।

সাহাবুদ্দিন আরও জানিয়েছেন, তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

৭৫ বছর বয়সী মো. সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান, যার পর সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।