ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হাদীর উপর হামলাকারীরা সীমান্ত ব্যবহার করে পালানোর তথ্য নিশ্চিত নয়’

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৪০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১০ বার পড়া হয়েছে

 

ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় হামলাকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কি না—তা এখনও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন মানবপাচারকারী ফিলিপ স্নালকে গ্রেপ্তারে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

হামলার ঘটনার পরপরই বিজিবি সম্ভাব্য পালানোর পথ ও মানবপাচার চক্রের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে সীমান্ত এলাকায় অভিযান শুরু করে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে একাধিক অস্থায়ী ও স্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয় এবং সীমান্ত টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

বিজিবি জানায়, হামলায় জড়িতরা ময়মনসিংহ সীমান্তের দুর্গম এলাকা ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করতে পারে—এই আশঙ্কায় সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত সম্ভাব্য রুটগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গুলি বর্ষণকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কি না—তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিজিবি কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারি ও অভিযান চলছে। ফিলিপ স্নালকে গ্রেপ্তার করা গেলে হামলার পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

বিজিবি জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিপ স্নালের স্ত্রী ডেলটা চিরান, তার শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ছাড়া ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী বারোমারি এলাকা থেকে বেঞ্জামিন চিরাম নামে আরও একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার ঘটনায় কারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং তাদের পালানোর পথ কী ছিল—তা উদ্‌ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। প্রয়োজন হলে সীমান্ত এলাকায় অভিযান আরও জোরদার করা হবে।


 

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেত্রীর মামলা

‘হাদীর উপর হামলাকারীরা সীমান্ত ব্যবহার করে পালানোর তথ্য নিশ্চিত নয়’

আপডেট সময় ০৩:৪০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

 

ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় হামলাকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কি না—তা এখনও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন মানবপাচারকারী ফিলিপ স্নালকে গ্রেপ্তারে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

হামলার ঘটনার পরপরই বিজিবি সম্ভাব্য পালানোর পথ ও মানবপাচার চক্রের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে সীমান্ত এলাকায় অভিযান শুরু করে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে একাধিক অস্থায়ী ও স্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয় এবং সীমান্ত টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

বিজিবি জানায়, হামলায় জড়িতরা ময়মনসিংহ সীমান্তের দুর্গম এলাকা ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করতে পারে—এই আশঙ্কায় সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত সম্ভাব্য রুটগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গুলি বর্ষণকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কি না—তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিজিবি কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারি ও অভিযান চলছে। ফিলিপ স্নালকে গ্রেপ্তার করা গেলে হামলার পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

বিজিবি জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিপ স্নালের স্ত্রী ডেলটা চিরান, তার শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ছাড়া ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী বারোমারি এলাকা থেকে বেঞ্জামিন চিরাম নামে আরও একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার ঘটনায় কারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং তাদের পালানোর পথ কী ছিল—তা উদ্‌ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। প্রয়োজন হলে সীমান্ত এলাকায় অভিযান আরও জোরদার করা হবে।