রাজধানীতে ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে গুরুতর আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে চলছে। সর্বশেষ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অবস্থার কিছুটা অবনতি দেখা দিলেও বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে তাকে আরেকটি অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড পেজে এ তথ্য জানানো হয়। সিঙ্গাপুরে হাদির সঙ্গে থাকা তার বড় ভাইয়ের বরাতে প্ল্যাটফর্মটি জানায়, দুপুর ৩টার দিকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে—প্রাইমারি টেস্ট শেষে শারীরিক অবস্থার সাময়িক অবনতি হলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, হাদির শরীরে আরও একটি অপারেশনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে সেটি করার মতো শারীরিক প্রস্তুতি এখনো তৈরি হয়নি। চিকিৎসকরা তার অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাকে সরাসরি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির আগেই প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। পৌঁছানোর পরপরই তাকে ভর্তি করে বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়।
শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে গেছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং বন্ধু ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আমিনুল হাসান ফয়সাল।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।
পরবর্তীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এক জরুরি কল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদি অংশ নেন। ওই বৈঠকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


























