ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদির লড়াই ছিল রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান গড়ার, সহিংসতার নয়—তাসনিম জারা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির রাজনৈতিক দর্শন ও সংগ্রাম ছিল রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লড়াই—কোনো কিছু পুড়িয়ে ফেলা বা ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের নয়। এমন মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ও নাগরিক অধিকারকর্মী তাসনিম জারা।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, হাদি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে মানুষের কথা বলার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর লড়াই ছিল সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতর থেকেই পরিবর্তন আনার।

পোস্টে তাসনিম জারা বলেন, বর্তমানে মানুষের ন্যায্য ক্ষোভ ও আবেগকে ধ্বংসাত্মক পথে প্রবাহিত করার চেষ্টা দৃশ্যমান। বিচার চাওয়ার নামে যে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা সংগঠিত হচ্ছে, তা দেশকে চূড়ান্ত অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত তাদেরই শক্তিশালী করবে, যারা গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।

হাদির হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হত্যাকারী ও পলাতক স্বৈরাচারকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। একই সঙ্গে এ দাবিতে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

তবে কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়—এমন মন্তব্য করে তাসনিম জারা বলেন, সহিংস ও হঠকারী পথ শহীদ হাদির স্বপ্নের রাষ্ট্র গঠনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, সমাজের দায়িত্ব হলো এই গণক্ষোভকে যুক্তিসংগত, দায়িত্বশীল ও কল্যাণকর রাজনৈতিক পরিণতির দিকে পরিচালিত করা—যা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্র গঠনের পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদিকে গুলি করে হত্যা: ৫ দফা দাবিতে এনসিপির মশাল মিছিল শনিবার

হাদির লড়াই ছিল রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান গড়ার, সহিংসতার নয়—তাসনিম জারা

আপডেট সময় ০৯:৩৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির রাজনৈতিক দর্শন ও সংগ্রাম ছিল রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লড়াই—কোনো কিছু পুড়িয়ে ফেলা বা ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের নয়। এমন মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ও নাগরিক অধিকারকর্মী তাসনিম জারা।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, হাদি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে মানুষের কথা বলার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর লড়াই ছিল সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতর থেকেই পরিবর্তন আনার।

পোস্টে তাসনিম জারা বলেন, বর্তমানে মানুষের ন্যায্য ক্ষোভ ও আবেগকে ধ্বংসাত্মক পথে প্রবাহিত করার চেষ্টা দৃশ্যমান। বিচার চাওয়ার নামে যে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা সংগঠিত হচ্ছে, তা দেশকে চূড়ান্ত অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত তাদেরই শক্তিশালী করবে, যারা গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।

হাদির হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হত্যাকারী ও পলাতক স্বৈরাচারকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। একই সঙ্গে এ দাবিতে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

তবে কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়—এমন মন্তব্য করে তাসনিম জারা বলেন, সহিংস ও হঠকারী পথ শহীদ হাদির স্বপ্নের রাষ্ট্র গঠনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, সমাজের দায়িত্ব হলো এই গণক্ষোভকে যুক্তিসংগত, দায়িত্বশীল ও কল্যাণকর রাজনৈতিক পরিণতির দিকে পরিচালিত করা—যা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্র গঠনের পথে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।