ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহবাগে ‘শহিদী শপথ’ কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ‘শহিদী শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় শাহবাগের শহিদ হাদি চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

তিনি বলেন, “আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আমরা শহিদ হাদি চত্বরে সমবেত হবো। এই শহিদী শপথে জুলাই-পূর্ববর্তী ও জুলাই-পরবর্তী সময়ে গুম, খুন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত সব শহিদকে স্মরণ করা হবে। এই শপথের মাধ্যমে বিচার, জবাবদিহি এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের দাবি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।”

সমাবেশে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, শহিদ হাদি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আর বিলম্বিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব। এক মাসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “হাদিকে হত্যার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। হাদি ভাইকে গুলি করার ১১ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। যদি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার না হয় এবং এর ফলে দেশে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

সমাবেশে শহিদ ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর হাদি বলেন, “আমরা কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। হাদির খুনিরা যেখানেই থাকুক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সামনে হাজির করতে হবে। খুনিদের হাজির করা না হলে আমরা ঘরে ফিরব না। আমরা শহিদ ওসমান হাদির উত্তরসূরি।”

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের উদ্দেশে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা পরে সমাবেশে রূপ নেয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রজনতা ‘জ্বালো রে, জ্বালো রে, আগুন জ্বালো’, ‘দিল্লির দালালেরা, আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, সুখে-দুখে কথা কবো’, ‘আমরা ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা, ঢাকা’সহ নানা স্লোগান দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সমর্থকদের কাছে নির্বাচনের খরচ চাইলেন তাসনিম জারা

শাহবাগে ‘শহিদী শপথ’ কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ‘শহিদী শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় শাহবাগের শহিদ হাদি চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

তিনি বলেন, “আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আমরা শহিদ হাদি চত্বরে সমবেত হবো। এই শহিদী শপথে জুলাই-পূর্ববর্তী ও জুলাই-পরবর্তী সময়ে গুম, খুন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত সব শহিদকে স্মরণ করা হবে। এই শপথের মাধ্যমে বিচার, জবাবদিহি এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের দাবি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।”

সমাবেশে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, শহিদ হাদি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আর বিলম্বিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব। এক মাসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “হাদিকে হত্যার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। হাদি ভাইকে গুলি করার ১১ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। যদি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার না হয় এবং এর ফলে দেশে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

সমাবেশে শহিদ ওসমান হাদির বড় ভাই ওমর হাদি বলেন, “আমরা কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। হাদির খুনিরা যেখানেই থাকুক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের সামনে হাজির করতে হবে। খুনিদের হাজির করা না হলে আমরা ঘরে ফিরব না। আমরা শহিদ ওসমান হাদির উত্তরসূরি।”

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের উদ্দেশে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা পরে সমাবেশে রূপ নেয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রজনতা ‘জ্বালো রে, জ্বালো রে, আগুন জ্বালো’, ‘দিল্লির দালালেরা, আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, সুখে-দুখে কথা কবো’, ‘আমরা ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা—ঢাকা, ঢাকা’সহ নানা স্লোগান দেন।