ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাসের পর রাজনীতিতে সক্রিয়, নায়েবে আমির হওয়ার গুঞ্জন

কয়েক বছর আগে যিনি মৃত্যুদণ্ডাদেশের আসামি ছিলেন, সেই এটিএম আজহারুল ইসলাম এখন মুক্ত মানুষ। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেখা দেয় তার জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে খালাস দেয়, বাতিল হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ।

মুক্তির পর থেকেই তিনি নিয়মিত বসছেন ঢাকার মগবাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে। তার জন্য নির্ধারিত একটি আলাদা কক্ষও রয়েছে। যদিও এখনো কোনো দলে পদে অধিষ্ঠিত হননি, তবু তিনি এখনো জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সর্বশেষ বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এটিএম আজহারুল ইসলাম খুব শিগগিরই বড় কোনো পদে আসতে পারেন। বিশেষ করে জামায়াতের নায়েবে আমির হিসেবে তার নাম আলোচনায় রয়েছে। এই বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আগামী সপ্তাহে নীতিনির্ধারকরা বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র আরও জানায়, আজহারুল ইসলাম জামায়াতের সিনিয়র নেতা এবং দলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তাকে নায়েবে আমির করার সিদ্ধান্ত খুবই সম্ভাব্য। তবে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে আমির পদে যাওয়ার সুযোগ নেই, কারণ বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সেই সময়ের পরই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমির পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ আসন থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম প্রার্থী হতে পারেন বলেও দলীয় মহলে আলোচনা চলছে।

উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মোট ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে কয়েকটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও অন্য কয়েকটিতে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সর্বোচ্চ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ মে তার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জন্য উপহার দেওয়া ‘কালো মানিক’ গরুটি ফের উপহার হয়ে ফিরল কৃষক সোহাগ মৃধার কাছে

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাসের পর রাজনীতিতে সক্রিয়, নায়েবে আমির হওয়ার গুঞ্জন

আপডেট সময় ০৯:১৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

কয়েক বছর আগে যিনি মৃত্যুদণ্ডাদেশের আসামি ছিলেন, সেই এটিএম আজহারুল ইসলাম এখন মুক্ত মানুষ। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেখা দেয় তার জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে খালাস দেয়, বাতিল হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ।

মুক্তির পর থেকেই তিনি নিয়মিত বসছেন ঢাকার মগবাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে। তার জন্য নির্ধারিত একটি আলাদা কক্ষও রয়েছে। যদিও এখনো কোনো দলে পদে অধিষ্ঠিত হননি, তবু তিনি এখনো জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সর্বশেষ বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এটিএম আজহারুল ইসলাম খুব শিগগিরই বড় কোনো পদে আসতে পারেন। বিশেষ করে জামায়াতের নায়েবে আমির হিসেবে তার নাম আলোচনায় রয়েছে। এই বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আগামী সপ্তাহে নীতিনির্ধারকরা বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র আরও জানায়, আজহারুল ইসলাম জামায়াতের সিনিয়র নেতা এবং দলের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তাকে নায়েবে আমির করার সিদ্ধান্ত খুবই সম্ভাব্য। তবে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে আমির পদে যাওয়ার সুযোগ নেই, কারণ বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সেই সময়ের পরই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমির পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ আসন থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম প্রার্থী হতে পারেন বলেও দলীয় মহলে আলোচনা চলছে।

উল্লেখ্য, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মোট ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে কয়েকটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও অন্য কয়েকটিতে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সর্বোচ্চ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ মে তার মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দেন।